শনিবার (৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদপত্রে উদীচীর সভাপতি ড. সফিউদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন বলেন, ‘গত প্রায় ৫০ বছর ধরে যেসব সরকারি কর্মকর্তা নানা পর্যায়ে এসব পাটকলের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন তাদের কি ব্যর্থতার দায়ে শাস্তির আওতায় আনা হবে? তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সোনালি আঁশ পাটশিল্পকে ধ্বংস করতে দীর্ঘদিন ধরেই শাসকগোষ্ঠী পাঁয়তারা করে আসছে।
উদীচী নেতারা বলেন, ‘সম্প্রতি পাটের স্বচ্ছ সোনালি ব্যাগ আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহম্মেদ খান। এ ব্যাগ শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বে চলমান প্লাস্টিকবিরোধী আন্দোলন এবং পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়ে বিশেষ অবদান রাখতে পারবে। প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যে আন্দোলন চলছে সেখানে পরিবেশসম্মত পণ্য হিসেবে একমাত্র পাটজাত দ্রব্যই প্লাস্টিকের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। একইসঙ্গে বিশ্ববাজারে এ ব্যাগের চাহিদা ব্যাপক থাকায় এর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। এমন বাস্তবতায়ও সরকার পাটশিল্পের প্রতি বিশেষ নজর না দিয়ে উল্টো পথে হেঁটে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণা করলো। এটি নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রের জন্য বড় ক্ষতি। ’
দেশে এরইমধ্যে সোনালি ব্যাগের পরীক্ষামূলক উৎপাদন চলছে, সেসময় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধ ঘোষণা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের জোর করে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দেওয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে উদীচী। একইসঙ্গে পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করে অধিক উৎপাদনমুখী করারও দাবি জানান উদীচী নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
ডিএন/এফএম