ভৈরব থেকে: কিশোরগঞ্জের উপজেলা ভৈরবকে জেলা করার স্বপ্ন ছিল রাষ্ট্রপতি মো: জিল্লুর রহমানের। জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও ভৈরবকে জেলা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ভৈরবের প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৃত্যুর আগে তার স্বপ্ন ছিল ভৈরবকে জেলা হিসেবে দেখে যাওয়ার। যে মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই হাজী আসমত কলেজ মাঠেই ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর এক সমাবেশে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও ভৈরবকে জেলা করে যাবো। ’’
তিনি বলেছিলেন, “ভৈরবকে জেলা করার ব্যাপারে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছি। প্রধানমন্ত্রীও ভৈরব জেলার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। ”
ভৈরব পৌর শহরের হাজী আসমত কলেজ মাঠে আয়োজিত ওই সুধী সমাবেশে জিল্লুর রহমান আরও বলেন, “আপনারা জেনে রাখুন, আমি শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও ভৈরবকে জেলা করব, ইনশা আল্লাহ। ”
ওই দিনই জীবিত জিল্লুর রহমানের ভৈরবে শেষ আগমন। এরপর তিনি আর ভৈরবে আসেননি। ‘ভৈরবকে জেলা না করতে পারাতেই তিনি আর আসেননি। ’ এমন কথা বললেন ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব মো. সায়দুল্লা মিয়া।
শুক্রবার কলেজ মাঠে জানাজা শেষে হাজারো মানুষের মুখে মুখেই ছিল ভৈরব জেলার কথা।
ভৈরব বিএনপি আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “উনার শেষ ইচ্ছেটুকু ছিল ভৈরবকে জেলায় উন্নীত করা। এখন উনার সুযোগ্য সন্তান সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন আন্তরিকভাবে তার বাবার এ স্বপ্নটুকু পূরণ করবেন আশাকরি। ”
বৃহৎ এ উপজেলাটির বাসিন্দারা সরকারের কাছে ভৈরবকে জেলা করে রাষ্ট্রপতির স্বপ্নটি পূরণের জন্য আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতির স্মৃতি বিজড়িত ভৈরবের সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে সেখানে রয়েছেন বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সাঈদ আরমান, আদিত্য আরাফাত ও স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সাজিদুল হক, মাজেদুল নয়ন, মফিজুল সাদিক এবং ডেপুটি চিফ অব ফটো করেসপন্ডেন্ট নাজমুল হাসান ও স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট সায়মন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৩
এডিএ/সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর