মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিন উপজেলার মাছের মেলায় গিয়ে দেখা যায়, ৫ কেজি থেকে শুরু প্রায় ২৫ কেজির মাছ স্থান পেয়েছে এখানে। সবচেয়ে বিশালাকৃতির মাছগুলোর সামনে দর্শনার্থীদের ভিড়।
মেলায় ২৫ কেজি ওজনের চিতল (প্রায় ৯০ সেন্টিমিটার) মাছটিকে ঘিরে কৌতূহলী মানুষের ভিড়। চিতল মাছটির বিক্রেতা শফিকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, চিতলটির দাম চেয়েছি ৩৫ হাজার টাকা। মাছটি সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিনগত রাতে ভৈরবের মেঘনা নদী থেকে কিনেছি। মেলায় এখনো বেচাকেনা তেমনভাবে জমেনি। শ্রীমঙ্গলের মাছের মেলায় মেঘনা নদীর মাছই রয়েছে বেশি।
তিনি আরও বলেন, চিতল ছাড়াও আমার এখানে রয়েছে ১০ কেজি ওজনের বেয়াল। যার দাম হেঁকেছি ২২ হাজার টাকা। ১০ কেজি ওজনের কাতলের দাম ধরেছি ১৫ হাজার টাকা। দেখা যাক, রাত পর্যন্ত কত বিক্রি করতে পারি। মেঘনার মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু। তাই চাহিদাও বেশি।
বড় আকৃতির বাঘাইড় মাছটিকে ঘিরেও অনুরূপভাবে উৎসুক জনতার ভিড়।
মাছবিক্রেতা রিপন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমি ২৫ কেজি বাঘাইড়টির দাম ৬০ হাজার টাকা চেয়েছিলাম।
মাছমেলায় আগত দর্শনার্থী লিটন সেন বলেন, এবারের মেলায় বড় মাছের সরবরাহ গতবারের তুলনায় কম। আর দামও অপেক্ষাকৃত বেশি। এখন এসেছি মাছ দেখতে, সন্ধ্যায় বা রাতে মাছের দাম কিছু কমলে তখন কিনবো। আক্ষেপের সঙ্গে তিনি বলেন, বড় আকৃতির মাছগুলোর দাম অতিরিক্ত। একজন ক্রেতার সঙ্গে অন্য ক্রেতার দামের কোনো মিল নেই, অনেক ব্যবধান। যার যেমন খুশি দাম চাইছেন। এমনটা হওয়া উচিত নয়।
বিশালাকৃতির মাছটি প্রসঙ্গে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, চিতল মাছ সর্বোচ্চ ১২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। আর ওজন প্রায় ৩৫-৪০ কেজি। এর বৈজ্ঞানিক নাম Chitala Chitala। এ মাছটি এক সময় হুমকি সম্মুখীন থাকলেও এখন মৎস্য অধিদপ্তরের মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপনসহ উন্নত জলাশয় ব্যবস্থাপনার ফলে চিতলের প্রাপ্যতা বেড়েছে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক নদ-নদী, হাওর-বিল এবং কৃত্রিমভাবে পুকুরেও পাওয়া যায় সুস্বাদু চিতল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
বিবিবি/এএটি