এই অগ্নিকাণ্ডে দুটি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে। পাশাপাশি ভবনের নিচ তলার কাচসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা এ আগুনের জন্য দুটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। তারা ধারণা করেছেন হয়তো শট সার্কিট না হয় জেনারেটর গরম হয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিস্ট্রিক্ট ইনচার্জ জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ধারণা করছি হয়তো শট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। না হয় জেনারেটর গরম হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের দুটি ইউনিটের আটটি গাড়ি কাজ করেছে।
অবশ্য ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। তারা পাশ্ববর্তী মসজিদের পুকুর থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
সূত্র জানায়, নয় তলা বিশিষ্ট এ ভবনের ৫৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। সবমিলিয়ে ভবনে কয়েকশ মানুষের বাস। নিচ তলায় আগুন লেগেছে-এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে ভবনের বাসিন্দারা সবাই ছাদের উপর উঠে যায়। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় মোহাম্মদ নুর উদ্দিন সুমন নামের এক নৌ বাহিনী কর্মকর্তা পাশের নির্মানাধীন ভবনের সঙ্গে আগুন লাগা ভবনের মধ্যে মই লাগিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষকে ওই ভবন থেকে নিরাপদে নিয়ে আসেন।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাসিন্দাদের ভবনে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
এ সময় ভবনের ছয় তলার বাসিন্দা ইসতিফা জাহান শিলা নামের এক তরুণী বাংলানিউজকে বলেন, আগুন লাগার পর পরেই আমরা ভবনের ছাদে উঠে যাই। পরে মইয়ের মাধ্যমে পাশের ভবনের ছাদে যাই। এরপর নিচে নেমে আসি।
এদিকে আগুন লাগার পর পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলে স্থানীয় কিছু তরুণ ওই ভবনে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ জসিম ভবনের জিনিসপত্রের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের সেখানে ঢুকতে বাধা দিলে তার উপর চড়াও হন ওই তরুণরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
টিএইচ/আইএসএ/টিসি