এ পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্রের জন্য ৩টি গল্প বাছাই করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রাথমিকভাবে যে গল্পটি নির্বাচন করা হয়েছে তার নাম রাখা হয়েছে ‘চট্টলা এক্সপ্রেস’।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর আগ্রাবাদ হোটেলের ত্রিস্টাল বলরুমে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরদৌস আহমেদ বলেন, চট্টগ্রামের সাথে আমার নিবিড় সম্পর্ক। ঢাকা থেকে আমি সর্বপ্রথম ১৯৯৮ সালে শুটিং করতে বান্দরবানে আসি। সেই থেকে চট্টগ্রামের সাথে সম্পর্ক। চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই অপূর্ব। যা আমাকে অনুপ্রাণিত ও অভিভূত করে। চট্টগ্রামকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করার ইচ্ছা আমার দীর্ঘদিনের। তারই প্রয়াসে চ্যানেল আরএ এ উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। চলচ্চিত্র নির্মাণে ব্যবসায়ীসহ সকল সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিবর্গকে সহযোগীতা ও চট্টগ্রামে সিনে কমপ্লেক্স নির্মাণ উদ্যোগ নেওয়ারও আহবান জানান তিনি।
চ্যানেল আরএ’র চেয়ারম্যান শেখ খুরশীদ আনোয়ার জানান, সময়ের পরিবর্তনে সবকিছুই পরিবর্তনসীল। একসময় অনেকের ধারণা ছিল নাটক, বিজ্ঞাপন, টেলিফিল্ম, শর্টফিল্ম, ডকুমেন্টরী ও মিউজিক ভিডিও মেকিংসহ নানা কিছুর জন্য ঢাকাই একমাত্র ভরসা। কিন্তু বাস্তবতা এখন একেবারেই ভিন্ন। প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চট্টগ্রামও এখন সমৃদ্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। সে লক্ষে কাজ করছে চ্যানেল আরএ। প্রথমবারের মত চট্টগ্রামের বিভিন্ন মনোরম জায়গায় শুটিংয়ের মাধ্যমে চট্টলা এক্সপ্রেস নামে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করবেন ফেরদৌস আহমেদ এবং নায়িকাসহ অন্যান্য চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চট্টগ্রামে ট্যালেন্ড হান্ট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিল্পী বাছাই করা হবে। মূলত চট্টগ্রামকে রিপ্রেজেন্ট করতে এ চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করি আমরা সফল হবো।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আরএ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ রায়হান আনোয়ার, চলচ্চিত্রের গল্পকার ও চিত্রনাট্য পরিচালক রফিকুল আনোয়ার রাসেল, ফ্যাশন ডিজাইনার শিমুল খালেদ প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের শিল্পউদ্যোক্তা, সাংবাদিক ও সংস্কৃতকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
এসবি/টিসি