বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে নগর পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুলিশ সমাবেশে এসে আইজিপি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
জামায়াত প্রশ্নে পুলিশের নীতির পরিবর্তন হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইজিপি সাংবাদিকদের বলেন, কোন দলের প্রতি আমাদের কোন পক্ষপাত (রিজার্ভেশন) নেই।
‘তবে যারা নাশকতাকারী, তাদের ব্যাপারে নীতির কোন পরিবর্তন হয়নি।
তিনি বলেন, জামায়াত ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ তে যেসব কর্মকান্ড করেছে, যেমন তারা মানুষ মেরেছে, পেট্রল বোমা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। অনেক ধরনের অপরাধ তারা করছে। এসব অপরাধ করতে গিয়ে তাদের অধিকাংশ লোক কিন্তু কোন না কোন মামলার আসামি।
‘মামলার আসামি যদি মিছিলে আসে, সমাবেশে আসে, সেটা কোনভাবেই আমরা গ্রহণ করব না। গ্রহণ করার কথাও না। জামায়াত প্রকাশ্য আসার পর সেখানে জামায়াতের যদি কোন আসামি পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’ বলেন আইজিপি
সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম নগরীতে জামায়াত-শিবিরের প্রকাশ্য মিছিল-সমাবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন আইজিপি। নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের বক্তব্য দেয়ার সময় তার পাশে ছিলেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।
তিন বছর ধরে গোপনে সংগটিত হওয়ার পর চট্টগ্রামে সম্প্রতি জামায়াত-শিবির প্রকাশ্যে আবারও মাঠে নেমেছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এবং ০৬ ফেব্রুয়ারি ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিবির নগরীতে বড় ধরনের শোডাউন করে। ২১ ফেব্রুয়ারিও শিবির নগরীতে বিশাল মিছিল বের করে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দীর্ঘদিনের আত্মগোপনরত অবস্থা থেকে বের হয়ে জামায়াত নেতা ও সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী নগরীর বিভিন্ন থানায় থানায় ঘরোয়া সভা করেছেন।
এর ফলে জামায়াত-শিবিরের অতীতের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের কথা বিবেচনায় নিয়ে ফের সহিংসতা এবং নাশকতার আশংকা করা হচ্ছে বিভিন্ন পর্যায় থেকে।
সহিংস ও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি পালনের জন্য অভিযুক্ত জামায়াত-শিবিরের মাঠে নামার জন্য নগর পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকেও দায়ী করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
আরডিজি/টিসি