দেশে ভোগ্যপণ্যের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সোমবার সকালে ভারতের নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫-৩৬ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ছিল ২৫ টাকা।
মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে খাতুনগঞ্জের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ বিপণিকেন্দ্র হামিদ উল্লাহ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমত চট্টগ্রামে পেঁয়াজের কোনো আমদানিকারক নেই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের স্থলবন্দর কেন্দ্রিক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেপারিরা ট্রাকবোঝাই করে পেঁয়াজ নিয়ে আসেন খাতুনগঞ্জের আড়তে। বিক্রির পর আড়তদার বেপারির কাছ থেকে কেজিতে মাত্র ৫০ পয়সা কমিশন পায়। আবার পেঁয়াজের পাইকারি ক্রেতার কাছ থেকে পায় ৩০ পয়সা। স্বাভাবিকভাবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে আড়তদারের হাত নেই। বেপারিই দাম নির্ধারণ করে দেন।
কোরবানিতে বেশি চাহিদা থাকায় সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ভারতে দাম বাড়লে দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ে। অন্য সময় এ ধরনের সংকট মোকাবেলায় মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বড় বড় পেঁয়াজ আমদানি করা হতো। এবারও খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দেশে খোঁজখবর নিচ্ছেন। সমস্যা হচ্ছে এখনি যদি বুকিং দেওয়া হয় সে পেঁয়াজ বন্দরে আসতে আসতে কোরবান চলে যাবে।
এসএম নাজের হোসাইন বলেন, রমজানে যেমন ছোলা-চিনি, তেমনি কোরবানিতে পেঁয়াজ-রসুন-আদার সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়। তারা নানা অজুহাত আর কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি করে। যা অস্বাভাবিক পর্যায়ে ঠেকে যদি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সক্রিয় না হয। এবারও টিসিবিকে সক্রিয় করতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনিক নজরদারি বাড়াতে হবে। এটা তো সত্য যে যে পেঁয়াজ এখন বাজারে আছে সেগুলো ভারত থেকে বেশি দামে কেনা পেঁয়াজ নয়।
তিনি বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিতে যদি দেরি করে তবে চালের বাজারের মতো পেঁয়াজের বাজারও ক্রমে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। নজরদারি ও বিকল্প বাজার সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে এখনই।
পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়ছেই, কমবেও না সহসা!
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৭
এআর/আইএসএ/টিসি