ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পেঁয়াজের আড়ত সরগরম শুক্রবারেও

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
পেঁয়াজের আড়ত সরগরম শুক্রবারেও পেঁয়াজের আড়ত সরগরম শুক্রবারেও। ছবি: সোহেল সরওয়ার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: সোনা মসজিদসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে আনা পেঁয়াজ, বিভিন্ন গুদাম থেকে কাভার্ডভ্যানে আনা রসুন ও আদা ট্রাক থেকে আড়তে ঢোকানো হচ্ছে। কুলিদের হাঁকডাক, কুড়ানিদের কাড়াকাড়ি। আবার আড়ত থেকে ছোট ছোট ট্রাক, পিকআপ, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়িতে সেই পণ্য যাচ্ছে নগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে।

দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ছুটির দিন শুক্রবার পেঁয়াজের আড়তগুলোর চিত্র এটি।

মেহের ট্রেডার্সের মালিকের ভাই রমজান আলী বাংলানিউজকে বললেন, ভারতের এলসি পেঁয়াজ মানভেদে পাইকারিতে ৪৬-৪৭ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে ছিল ৩৭-৩৮ টাকা। চীনা রসুন ১০৫ টাকা, চীনা আদা ৯০-৯৫ ‍টাকা।
খাতুনগঞ্জে আড়তে মজুদ করা হচ্ছে চীনা রসুন

তিনি জানান, পাবনা, ফরিদপুর, মেহেরপুরের দেশি পেঁয়াজ এলসি পেঁয়াজ থেকে ২-৩ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। যদিও সরবরাহ খুবই কম।

সততা বাণিজ্যালয়ের রতন রায় বললেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। এটি খুব বেশি দিন মজুদ করে রাখার মতো সুযোগ নেই। চট্টগ্রামে কোনো আমদানিকারক নেই পেঁয়াজের। সীমান্ত এলাকার বড় ব্যবসায়ীরা এখানে ট্রাক বোঝাই করে পেঁয়াজ পাঠিয়ে দেন। তারা দর নির্ধারণ করে দেন। আমরা সেই দরে বিক্রি করে কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা কমিশন পাই।

তিনি জানান, ভারতের নাসিক অঞ্চলের পেঁয়াজ ৪২-৪৩ টাকা, চীনা রসুন ১০০ টাকা, চীনা আদা ৮৮-৯০ টাকা, ধনিয়া ৫৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাতুনগঞ্জে আড়তে মজুদ করা হচ্ছে আদা

সুজলা স্টোরের মো. জামশেদ জানান, তারা শুধু ভারতের রসুনই বিক্রি করছেন। পাইকারিতে এ রসুন ৬৫-৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেখতে চীনা রসুনের মতো হওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা অনেকেই এ রসুন কিনছেন বেশি লাভের জন্য।

গোপাল বাণিজ্য ভাণ্ডারে শুক্রবার দেশি রসুন ৭৫ টাকা, চীনা ১০৫ টাকা, চীনা আদা ৯৫ টাকা, মিয়ানমারের আদা ৩৮ টাকা, নাসিক পেঁয়াজ ৪৫ টাকা বিক্রি হয়েছে।

চাঁপাই নবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থলবন্দর থেকে ৪৮-৫০ কেজির ৩৭২ বস্তা পেঁয়াজ ট্রাক বোঝাই করে খাতুনগঞ্জে এনেছেন চালক আবদুল হাকিম। খাতুনগঞ্জে আড়তে মজুদ করা হচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা

তিনি বলেন, ৪০ হাজার টাকা ভাড়ায় চালানটি এনেছি। সেখানকার ফুল মোহাম্মদ নামের এক পার্টি চালান দিয়ে খাতুনগঞ্জে পাঠিয়েছেন। এখানে নির্দিষ্ট আড়তে পেঁয়াজের বস্তাগুলো নামিয়ে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।

খাতুনগঞ্জের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের বিপণিকেন্দ্র হামিদ উল্লাহ মার্কেটের একজন আড়তদার বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি। কারণ সপ্তাহখানেকের বেশি সময় যদি আড়তে পেঁয়াজ থাকে তবে পচন ধরবে। কোরবানির সপ্তাহখানেক আগেই প্রচুর পেঁয়াজ আসবে খাতুনগঞ্জের আড়তে। বর্তমানে ২০-২৫ ট্রাক পেঁয়াজের চাহিদা আছে খাতুনগঞ্জে। তখন সেটি দুই-তিন গুণ ছাড়িয়ে যাবে।  

পেঁয়াজে নজরদারির তাগিদ, বিভিন্ন দেশে নজর ব্যবসায়ীদের

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭

এআর/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।