তারা বলছেন, ভারতের বাজারে আগে যে পেঁয়াজ ১৫-১৬ রুপিতে বিক্রি হতো, এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ রুপিতে। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে পেঁয়াজের দাম উর্দ্ধমুখী হয়ে পড়েছে।
দ্রুত চীন সহ অন্যান্য দেশগুলো থেকে আমদানি করা গেলে কোরবানি ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
তাদের মতে, কোরবানি ঈদের আর বেশিদিন নেই।
দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার (১১ আগস্ট) ভালোমানের ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা কেজিতে। তবে খুচরা বাজারে এসব পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জের গ্রামীণ বাণিজ্যালয়ের ব্যবস্থাপক বলাই কুমার পোদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, ১৫ দিন আগেও ভারতের বাজারে যে পেঁয়াজ ১৫-১৬ রুপি ছিল, এখন সেই পেঁয়াজ ২৫-৩০ রুপিতে কিনতে হচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমদানি মূল্য বাড়ার কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। ফলে পেঁয়াজের বাজার এখন উর্দ্ধমুখী।
খাতুনগঞ্জ হামিদ উল্লাহ মিয়া খাঁ মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস জানান, কোরবানির ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। ভারত পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে আমাদের এখানেও দাম বেড়েছে। কেননা আমাদের দেশে আমদানি করা পেঁয়াজের বেশিরভাগই ভারত থেকে আনা হয়। ফলে এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। এরইমধ্যে বেশি দামে অনেক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ কিনে ফেলেছে। তাই এ কয়েকদিনে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
পরিবহন খরচ বাড়ার কারণেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, পরিবহন খরচ প্রতি গাড়িতে ৭-৮ হাজার টাকা বেড়ে গেছে। আগে যেখানে প্রতি ট্রাক ১৫-১৭ হাজার টাকা নিত, এখন সেখানে নিচ্ছে ২৪-২৫ হাজার টাকা।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে স্কেলে গাড়ি প্রতি ২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। ফলে চালকরাও আমাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে বাড়িয়ে নিচ্ছে। পরিবহন খরচ বাড়ায় পেঁয়াজের দামেও প্রভাব পড়েছে।
পাইকারিতে ৪০-৫০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হলেও খুচরায় ১৫-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হওয়ার বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, তারা সরাসরি পেঁয়াজ কিনতে পারছেন না। কয়েক হাত ঘুরে তাদের পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এভাবে হাত বদলের কারণে খরচ বেড়ে গিয়ে দামও বেড়ে যাচ্ছে।
বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা কাজল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ছোট ব্যবসায়ী। কয়েক হাত ঘোরার পর বেশি দামে আমাদের পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কেজিতে ৫-৭ টাকার বেশি লাভ করতে পারছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এমইউ/আইএসএ/টিসি