বকশিরহাট পেরিয়ে খাতুনগঞ্জ ঢুকতেই খুচরা পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন পটিয়ার মোহাম্মদ রফিক (৫৮)। তিনি বললেন, মনসা পূজা ও কোরবানিকে সামনে রেখে পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে গেছে।
সোনালী ব্যাংকের বিপরীতে একটি মার্কেটের সামনে পেঁয়াজ-রসুন-আদার পসরা সাজিয়ে বসেছেন বাকলিয়ার মোহাম্মদ আনিস (৩৫)। তিনি জানান, ৫০ কেজির বস্তায় ২ কেজি পেঁয়াজ নষ্ট পড়বেই। পৌনে এক কেজি তো একেবারে ফেলে দিতে হয়। আদার বস্তায়ও এক কেজির মতো নষ্ট হয়।
তিনি জানান, ৫০ টাকায় পেঁয়াজ, ১১০ টাকায় রসুন, ১০০ টাকায় চীনা আদা, মিয়ানমারের আদা ৬০ টাকা, দেশি রসুন ৯০ টাকা বিক্রি করছি।
নতুন ব্রিজ এলাকায় সারা বছর পেঁয়াজ রসুন বিক্রি করেন সাতকানিয়ার সোনাকানিয়ার মোহাম্মদ হাসান (৩৫)। গোপাল বাণিজ্য ভাণ্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আগস্টের শুরু থেকেই পেঁয়াজের দাম ধাপে ধাপে বাড়ছে আড়তে। জুলাইতে সর্বশেষ ১৮-১৯ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছিলাম। এখন সেই পেঁয়াজ ৪৫-৪৬ টাকা। খুচরায় বলতে গেলে কয়েক দিন হলো হাফ সেঞ্চুরি করেছে পেঁয়াজ।
ভোলার মো. রিপন (৩৬) বায়েজিদ থানার শেরশাহ এলাকা থেকে আড়তে এসেছেন পেঁয়াজ কিনতে। জনতা ট্রেডার্স থেকে শুক্রবার ২৪ হাজার ৯৩৯ টাকার পেঁয়াজ কিনেন তিনি। বাংলানিউজকে বলেন, এসেছিলাম ৪০ বস্তা কিনতে। দাম বেড়ে গেছে তাই ১০ বস্তা সবচেয়ে ভালো মানের রাজস্থানী পেঁয়াজ কিনেছি। চট্টগ্রামের মানুষ দাম বেশি হলেও দেখতে সুন্দর ও মানে ভালো পেঁয়াজ চায়।
তিনি বলেন, খাতুনগঞ্জ থেকে বস্তা প্রতি গাড়ি ভাড়া পড়বে ৩৫ টাকা। আড়তের কমিশন, লেবার চার্জ, কেরিং চার্জ, বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীর মজুরি, পলিথিন ইত্যাদি মিলে প্রতিকেজিতে আড়াই টাকা খরচই আছে। এর মধ্যে বস্তায় যদি দুকেজি পচা পড়ে তবে ৯০ টাকা শেষ।
আন্দরকিল্লা মোমিন রোডের কদম মোবারক মুসলিম এতিমখানা মার্কেটের শরীফ স্টোরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরায় ৫২ টাকা, পাশের হক স্টোরে ৫০ টাকা এবং সারাহ সুপার শপে ৫৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে হক স্টোরে চীনা রসুন ও আদা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এআর/আইএসএ/টিসি