যাদের বাজারের বাজেট আরেকটু বেশি তারা আবার ঝুঁকছেন ছাগলের মাংসের দোকানে। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে এই সপ্তাহে ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।
তবে মাংসের বাড়তি দামে ক্রেতাদের মাঝে রয়েছে অসন্তোষের সুরও।
বাড়তি দামের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাংস দোকানি জানান, সপ্তাহে গরু কিংবা ছাগলের মাংস কেজিতে কত টাকায় বিক্রি হবে তা নির্ধারণ করে দেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীদের ওই দামেই মাংস বিক্রি করতে হয়।
চকবাজারের এক দোকানি বলেন, ‘আমরা খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করি। যারা পাইকারিতে গরু নিয়ে আসে তারা আগে থেকে বলে দেয় সপ্তাহে কেজিতে গরুর মাংস কত দামে বিক্রি করতে হবে। তাই আমরা দাম বাড়াতেও পারি না, কমাতেও পারি না। ’
তিনি জানান, পাইকারিতে যে দামে গরু কিনে তা যদি কেজিতে বিক্রি করতে হয় তাহলে সঠিক দাম পড়বে ৪০০ টাকা। লাভ করতে চাইলে কেজিতে ৫০০ টাকায়ও বিক্রি করা যায়। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম আগে থেকেই নির্ধারণ করে দেয়।
তারপরও এত দাম দিয়ে মাংস কেনার পরও স্বস্তিতে নেই ক্রেতারা। বাড়তি দাম নেওয়ার পরও গরুর মাংসের সঙ্গে কৌশলে চর্বিসহ ঢুকিয়ে দিতে চান দোকানিরা।
চকবাজারে কাঁচাবাজারে গরুর মাংসের দোকানে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা চলছিল ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে।
বড়মিয়া মসজিদের বাসিন্দা নূর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘৬৫০ টাকা হলেও গরুর ভাল মাংসটা দোকানিকে দিতে বলেছি। অথচ তিনি চর্বিসহ (প্রায় ২৫০ গ্রাম) মাংস ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। চর্বি রেখে দিতে বললে তিনি মাংস চর্বি ছাড়া বিক্রি করবেন না বলে জানান। ’
জানতে চাইলে মাংসের দোকানি রহিম বলেন, ‘শুধু গরুর রানের মাংস বিক্রি করলে চর্বি কে খাবে। মাংসের সঙ্গে-তো চর্বি একটু-আধটু নিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, যার ভালো লাগবে সে মাংস নিয়ে যাবে। ’
এদিকে দেশি মুরগির দামও বাজারে চড়া। দেশি মুরগি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। তবে ফার্মের মুরগি কিছুটা কমে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।
এদিকে মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আকারভেদে চিংড়ি মাছ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ২৮০, ৬০০ ও ১০০০ টাকায়। কাতলা মাছ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে থেকে ৪০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ৪৫০ টাকা ছিল। এছাড়া ইলিশ মাছ কেজিতে ৬০০ ও ৮০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ টাকা, কই মাছ দেশি ২৫০ টাকা ও পাঙ্গাস মাছ ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি