মাস দুয়েকের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আড়াই-তিন বছর বয়সী ছয়টি জেব্রা আমদানি করা হবে। দুটি পুরুষ ও চারটি স্ত্রী জেব্রা আনতে খরচ পড়বে ৪৮ লাখ টাকা।
বাংলানিউজকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা নির্বাহী কমিটির সদস্যসচিব মো. রুহুল আমিন।
কেন জেব্রা আনার উদ্যোগ জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেব্রা শিশু-কিশোরদের জন্য আকর্ষণীয় প্রাণী।
তিনি আশা করে, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান শিগগির আমদানি প্রক্রিয়ায় শুরু করবে। তাহলে জানুয়ারি শেষদিকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জেব্রা এসে পৌঁছাবে বলে আশা করছি আমরা।
২০১৬ সালের ডিসেম্বর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুটি বেঙ্গল টাইগার আনা হয়। যাদের বৈজ্ঞানিক নাম ‘প্যানথার টাইগ্রিস টাইগ্রিস’। তখন বাঘটির বয়স ছিল ১১ মাস, বাঘিনীর বয়স ৯ মাস। দুটি কাঠের বাক্সসহ বাঘ দুটির ওজন ছিল ৪২০ কেজি। এগুলোর গড় আয়ু ১৪-১৫ বছর। তবে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ভীম নামের একটি বাঘ ২৩ বছর বেঁচেছিল।
বর্তমানে বাঘগুলো সুস্থ সবল আছে জানিয়ে ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, এগুলো এখনো নিতান্তই শিশু। হাসিখুশিতে বেশ ভালো আছে। বলা যায় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া সিংহ দম্পতিও ভালো আছে। সিংহটি দুর্বলতা কাটিয়ে উঠেছে। এখন হুংকারে-গর্জনে মাতিয়ে রাখে দর্শকদের। গর্জনের সময় হরিণসহ তটস্থ থাকে অন্য প্রাণিরা।
তিনি জানান, সপ্তাহের প্রতি রোববার চিড়িয়াখানার মাংশাসী প্রাণীগুলোকে উপোস রাখা হয়। যাতে তাদের শরীরে চর্বি বা মেদ বেশি না জমে। ওই দিন শুধু তারা পানি পান করবে। এটি আন্তর্জাতিক নিয়ম। অবশ্য কোনো কোনো দেশের চিড়িয়াখানা পশুর স্বাস্থ্য বিবেচনায় নিয়ে দুদিনও উপোস রাখে প্রাণীদের।
তিনি জানান, ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ফয়’স লেকে যাত্রা শুরু করা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ৫১ প্রজাতির পশুপাখি রয়েছে। যেগুলোর আকর্ষণে বিপুলসংখ্যক দর্শক আসে। এতে চিড়িয়াখানার আয়ও বেড়েছে। বর্তমানে চিড়িয়াখানার চলমান হিসেবে ৮০ লাখ টাকা এবং ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এআর/টিসি