রোববার (২৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে বিএনএ ফ্লোটিলায় রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ মিডশিপম্যান-২০১৫ পরিদর্শন শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয়ী জাতি।
‘আমার মা বুঝতেন জাতির পিতাই বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা, দুঃখ-বঞ্চনার কথা সবচেয়ে ভালো জানেন। বাঙালি জাতির প্রতি তার মতো গভীর আন্তরিকতা আর কারো নেই। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শোষণ-শাসনে জর্জরিত জাতির বেদনার উপাখ্যান। ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি জাতির পিতার আহ্বানে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধের অবিনশ্বর ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাসের আলোকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আত্মবিশ্বাসী এবং দৃঢ়চেতা করবে। ’
মিডশিপম্যানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে তোমরা এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্বে আত্মনিয়োগ করবে। একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে সর্বদা ঊর্ধ্বতনদের প্রতি আনুগত্য ও অধঃস্তনদের সহমর্মিতা প্রদর্শন করবে। চেইন অব কমান্ড মেনে চলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে বিশ্ব দরবারে আরও গৌরবোজ্জ্বল আসনে অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে।
১৯৬৬’র ৬-দফায় বঙ্গবন্ধুই প্রথম পূর্ববঙ্গে নৌবাহিনীর সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
মিডশিপম্যান ২০১৫ ব্যাচের সোহানুর রহমান চৌকষ সদস্য হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন। এছাড়া মিডশিপম্যান সীমান্ত নন্দী আকাশ ‘নৌ প্রধান স্বর্ণ পদক’ পেয়েছেন। ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০১৭ বি ব্যাচের সাব লেফটেন্যান্ট এ ডেজ এম নাসিমুল ইসলাম শ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণ পদক’ পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়ার পর সবাই শপথ নেন।
শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নৌ ঘাঁটিতে এসে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাউদ্দিন আহমেদ ও চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়াল অ্যাডমিরাল এম আবু আশরা ফতাকে স্বাগত জানান।
এরআগে, ঢাকা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়মিত ফ্লাইটে চট্টগ্রাম এসে পৌঁছালে শাহ আমানত বিমানবন্দরে নৌবাহিনী প্রধানসহ ঊধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
***চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
এমইউএম/এএ