শনিবার (২৬ জানুয়ারি) মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে এ চেহলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন জেলা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাইজভাণ্ডারে আসেন আশেক-ভক্তকানরা।
শনিবার বাদ আসর চেহলাম শরীফ উপলক্ষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহ ছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)।
গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মাইজভাণ্ডারী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) চেহলাম উপলক্ষে আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা তত্ত্বাবধান করেন। এতে মিলাদ পরিচালনা করেন আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী (শাহ এমদাদীয়া) কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের দারুততায়ালীম প্রধান শিক্ষক মওলানা জয়নাল আবেদীন ছিদ্দিকী। মোনাজাত শেষে আগত ভক্ত-আশেকানদের মধ্যে ফলাহার বিতরণ করা হয়।
গত ২৩ জানুয়ারি গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী হযরত মওলানা শাহ ছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) প্রকাশ হযরত কেবলার ১১৩তম বার্ষিক ওরশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাজ্জাদানশীনে দরবারে গাউছুল আজম সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ছাড়াও এ বছর ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ওমানসহ নানা দেশ থেকে কয়েক লাখ ভক্ত-আশেকান ওরশে অংশ নেন।
এছাড়া ওরশ উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি, শিক্ষামেলা, বৃত্তিপ্রদান, গ্রিন ও ক্লিন মাইজভাণ্ডার, সুধী সমাবেশ ও তাসাউফ সংলাপসহ ১০ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী (শাহ এমদাদীয়া), মাইজভাণ্ডারী ফাউন্ডেশন, মাইজভাণ্ডারী শাহ এমদাদীয়া ব্লাড ডোনার্স গ্রুপ, মাইজভাণ্ডারী শাহ এমদাদীয়া সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটি।
এছাড়া গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ওরশ উপলক্ষে পৃথক বাণী প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
এসকে/টিসি