রোববার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর একটায় নগরের সিআরবি জিএম কনফারেন্স রুমে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, রেলকে গতি দেওয়ার জন্য, আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের পরিকল্পনা একটাই-তা হলো উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা আছে, তিনি এ রেলকে প্রত্যেকটি জেলায় নিয়ে যাবেন। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার প্রকল্পের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, আলাদা একটা রেললাইন তৈরি করার পরিকল্পনা আছে। সেটি ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী হয়ে চট্টগ্রামে আসবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে। এছাড়া আখাউড়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশ আগরতলার সঙ্গেও সংযুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।
রেলমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে রেলওয়ের যোগাযোগ ছিলো-তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন সেই জায়গাগুলোতে আবারও রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করার কাজ চলছে। চলমান প্রকল্পগুলো যদি বাস্তবায়ন হয়, তাহলে রেলওয়ের যে ঐতিহ্য তা ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, আমাদের আন্তরিকতা ও সততা দিয়ে কাজ করতে হবে। আমার মেয়াদ ৫ বছর। বলা যায়, সময়টা সকাল-বিকেল। আমি যদি যোগ্যতার পরিচয় না দিতে পারি, তাহলে আমি চেয়ারে নেই। আগামী প্রজন্মকে বাসযোগ্য একটি দেশ উপহার দিতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, যারা একসময় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল তারাই পরিকল্পিতভাবে এ দেশটাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। আন্দোলন আমরাও করেছি, তাদের মতো জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করিনি। মানুষ মারার রাজনীতি করিনি। ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন দেশের মানুষ দেখেছে, কীভাবে তারা রেলে আগুন দিয়েছে। নিরীহ মানুষের উপর পেট্রোল বোমা হামলা, মানুষকে হত্যা করা-এই ছিলো তাদের আন্দোলন। এগুলো তো রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৮
জেইউ/এসি/টিসি