চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, ঈদ ও রমজানে কেনাকাটা, ব্যবসা বাণিজ্য, অর্থের লেনদেন বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে চুরি, ছিনতাই, দস্যুতাসহ মলম ও অজ্ঞান পার্টির তৎপরতাও বৃদ্ধির শঙ্কা থাকে।
এরই অংশ হিসেবে রমজান উপলক্ষে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে নগদ টাকা পরিবহনকালে মানি এস্কর্ট সেবা দিচ্ছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এর আগে নগরের কোনো মার্কেট বা শপিংমলে রমজানে চাঁদাবাজি হলে তার দায় ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। চাঁদাবাজি হলে তাৎক্ষণিক মৌখিক বা ফোনে অভিযোগ জানাতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান তিনি।
জানা গেছে, জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত চক্র ঈদের বাজারে বড় টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে। কতিপয় ব্যাংক কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্যাংকে লেনদেন ও এটিএম বুথেও জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়া হয়। তাই টাকা লেনদেনে গ্রাহকদের আরও সতর্ক থাকার পাশাপাশি পুলিশকে এ ধরনের চক্রের খবর দিতে আহ্বান জানিয়েছে সিএমপি।
গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, রমজানে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে অজ্ঞান ও মলমপার্টির সদস্যরা। বিভিন্ন জেলা থেকে নগরে জড়ো হচ্ছে কেউ কেউ। বাড়তে পারে গামছা পার্টির দৌরাত্ম্যও। মৌসুমি ভিক্ষুক ও হকাররাও অপরাধে জড়াতে পারে। তারা পান, ডাব, শরবত, মসলা-মুড়ি ও নানা ধরনের মুখরোচক খাদ্যের বিক্রেতা ঘুরে বেড়ায়। রাতের যাত্রীদের টার্গেট করে সিএনজি টেক্সীর কতিপয় চালকও এ সময় যোগ দেয় গামছা পার্টির সঙ্গে। ইতোমধ্যে নগরের বিভিন্ন থানায় বেশ ক’জন অপরাধী আটকও হয়েছে। তাই জনগণকে সতর্ক হতে হবে।
অপতৎপরতা রোধে নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা নজরদারি বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) একজন কর্মকর্তা।
র্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি মো. মাশকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, র্যাবের নিয়মিত টহল চলছে। বাসস্টেশন, বিভিন্ন মার্কেটে সাদা পোশাকে র্যাবের সদস্যরা সবার গতিবিধি নজরে রাখছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
টিসি