ক্লোজড হওয়া ওই সার্জেন্টের নাম জাকির হোসেন। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-উত্তর বিভাগে কর্মরত।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ক্লোজড করা হয়। বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন সিএমপির উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, শওকত হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে চেকপোস্টে টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে সার্জেন্ট জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। সার্জেন্ট জাকির হোসেনকে ক্লোজড করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, ১৩ এপ্রিল বিকেলে চান্দগাঁও এলাকায় অফিস থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা হয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে চেকপোস্টে পড়েন শওকত হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি এশিয়ান গ্রুপে কর্মরত। চেকপোস্টে সার্জেন্ট জাকির তার কাছে প্রথমে কাগজপত্র দেখতে চান, সব ঠিকঠাক দেখার পর শওকত হোসেনকে সার্জেন্ট জানান তার গাড়িটি জব্দ করা হবে।
শওকত হোসেন তখন সার্জেন্টকে বলেন- জব্দ কেন করবেন? কাগজপত্রে কোনো সমস্যা থাকলে মামলা দেন। পরে এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে সার্জেন্ট জাকির হোসেন শওকত হোসেনের কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ৩ হাজার ২৫০ টাকা দিয়ে ছাড়া পান শওকত হোসেন।
বিষয়টি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন শওকত হোসেন নামে ওই ব্যক্তি। বিষয়টি নজরে আসলে বুধবার সার্জেন্ট জাকির হোসেনকে ক্লোজড করা হয়।
চেকপোস্টে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি চান্দগাঁও থানার সদস্যরাও দায়িত্বরত থাকেন। ১৩ এপ্রিল বিকেলে দায়িত্বরত ছিলেন চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন।
এসআই আমির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কেউ টাকা আদায়ের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। এ বিষয়ে আমরা জানি না।
উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ডিউটিতে অবহেলা বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে আমরা ছাড় দিইনা। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিই। কেউ যদি হয়রানির শিকার হন তাহলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সরাসরি অভিযোগ করতে পারেন। একজন ব্যক্তির দায় পুরো পুলিশ বাহিনীর উপর যাতে কেউ চাপিয়ে না দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২০
এসকে/টিসি