প্রিন্স অব চিটাগং ও সিটি কনভেনশন হলে আইসোলেশন ওয়ার্ডের প্রস্তুতি কার্যক্রম পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (৫ জুন) জুমার নামাজের পর প্রথমে প্রিন্স অব চিটাগং এবং পরে সিটি হল কনভেনশন হল পরিদর্শন করেন মেয়র।
তিনি বলেন, সংক্রমণ যেহেতু পর্যায়ক্রমে বাড়ছে সেহেতু বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা সেবাদানের নতুন নতুন ক্ষেত্র স্থাপনের চেষ্টা করছি এবং সেই লক্ষ্যে প্রতিদিনই পদক্ষেপ নিচ্ছি। ইতিমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অনুমোদন পাওয়া এবং চসিকের উদ্যোগে বেশ কিছু আইসোলেশন সেন্টার স্থাপিত হয়েছে।
মেয়র বলেন, সম্পূর্ণ চসিকের ব্যবস্থাপনায় আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হলে ২৫০ শয্যা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের ব্যক্তি উদ্যোগে প্রিন্স অব চিটাগং আইসোলেশন সেন্টার অতি শিগগিরই নগরবাসীর সেবা দিতে প্রস্তুত হবে। চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে যা প্রয়োজন তা করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। অকারণে ঘর থেকে বের না হওয়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণ অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে।
আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, করোনা মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে আমরাও পাশে থাকতে চাই। দেশের প্রতি দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমাদের নেত্রীর নির্দেশে আমরা দেশমাতৃকা রক্ষায় করোনা রোগীর চিকিৎসায় সিটি মেয়রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেবায় অংশ নিতে চাই।
আইসোলেশন সেন্টার দুটি পরিদর্শনকালে কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, যুবলীগ নেতা হেলাল আহমেদ, তাজ উদ্দিন, সাংবাদিক আজাদ তালুকদার, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, সুমন দেবনাথ, সহিদুল ইসলাম মিন্টু, জাবেদুল আলম সুমন, মাইন উদ্দিন, প্রিন্স অব চিটাগং আইসোলেশনের উদ্যোক্তা সাজ্জাদ হোসেন, মহরম হোসেন, জাওইদ চৌধুরী, শাদ শাহরিয়ার, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২০
এআর/টিসি