ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আগে নিজের চেয়ার পরিষ্কার রাখতে চাই: সাহাদাত আলী

জমির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
আগে নিজের চেয়ার পরিষ্কার রাখতে চাই: সাহাদাত আলী সরদার সাহাদাত আলী

চট্টগ্রাম: সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন ঠিক সময়ে ছেড়েছে? যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেছে কি-না, দায়িত্বরত কর্মচারীরা চেক করেছে? বিভিন্ন দফতরে কল দিয়ে এভাবে খোঁজ নিচ্ছিলেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী। তিনি যখন খোঁজ নিচ্ছিলেন তখন সময় ঠিক সাড়ে ৯টা।

এর আগে তিনি পাহাড়তলী কন্ট্রোল বিভাগে গিয়ে সবকিছু তদারকি করেছেন। অফিসে ঢুকেছেন সকাল ৯টা।

অফিসও শুরু হয় ওই ৯টায়। মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব নেওয়ার পর সাহাদাত আলীর দিন যাচ্ছে এভাবেই।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) কথা হয় সরদার সাহাদাত আলীর সঙ্গে।

রেলওয়েতে সবসময় দুর্নীতি লেগেই থাকে। মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পেলে কোন কাজটি আগে করবেন-এমন প্রশ্নে সাহাদাত আলীর সোজাসাপ্তা জবাব, ‘আগে নিজের চেয়ার পরিষ্কার রাখতে চাই। তারপর অন্যটা ধরবো। দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। যাত্রীরা টিকিট যাতে পায়, সেটি নিশ্চিত করতে চাই। ’

তিনি বলেন, আমি দায়িত্বটা এমন সময়ে পেয়েছি যখন দেশে করোনা ভাইরাসের মহামারি। এরমধ্যে ট্রেনও চলছে। এজন্য আগে নিশ্চিত করেছি স্বাস্থ্যবিধি। প্রায় সময় চট্টগ্রাম স্টেশনে গিয়ে তদারকি করছি। সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাদের কড়া আদেশ দেওয়া আছে, যাতে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হয়।

‘অনলাইনে ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে, যাতে স্বাস্থ্যবিধি ঠিক থাকে। এক ঘণ্টা আগে যাত্রীদের স্টেশনে আসার জন্য বলা হয়েছে। যাত্রীদের মুখে মাস্ক, হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে তারপর ট্রেনে উঠানো হচ্ছে। বগির ভেতরে মাইকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত বিভিন্ন বাণী প্রচার করা হচ্ছে। ’

ট্রেনেই করোনা সাসপেক্টেড রোগীদের জন্য আলাদা বগি রাখা হয়েছে উল্লেখ করে সাহাদাত আলী বলেন, যাত্রীর জ্বর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলে তিনি যেতে পারবেন। তবে তিনি যাবেন ট্রেনের মধ্যে আলাদা কক্ষেই। প্রতিটি ট্রেনে খাবারের বগি করোনা সাসপেক্টেড রোগীর জন্য রাখা হয়েছে। কারণ এখন ট্রেনে খাবার না দেওয়ায় এ বগি খালি।

তিনি বলেন, শুধু যাত্রীদের জন্য নয়, রেলওয়ের সব দফতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢুকার সময় তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। তাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করার জন্য বলা হয়েছে। প্রত্যেক বিভাগে মাস্ক, গ্লাভসসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার নানা উপকরণ দেওয়া হয়েছে।

রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আক্রান্ত হলে দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে সাহাদাত আলী বলেন, রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী বাঁচলে ট্রেন চলবে। তাই তাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছি। এই টিমের মাধ্যমে একজন করোনা রোগী যা যা দরকার সব পাবেন।

তিনি বলেন, ট্রেন যাতে সময়মতো যায় এটি আমাকে নিশ্চিত করতে হবে। ট্রেন যাতে কোনো দুর্ঘটনায় না পড়ে, সেটিও দেখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি আমি সবসময় জোর দিচ্ছি। একটি দুর্ঘটনা অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad