বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বেলা পৌনে ১১টায় বন্দরের নতুন হাসপাতাল ভবন ও করোনা ইউনিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম বাংলানিউজকে জানান, ৬০ শয্যার কোভিড-১৯ ইউনিটে ৪০ শয্যা আইসোলেশনের জন্য থাকবে।
তিনি জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষ করোনা ইউনিটের জন্য ১৩ জন চিকিৎসকসহ ১৫৯ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। তাদের ওরিয়েন্টেশন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী করোনা ইউনিটের চিকিৎসক, নার্সসহ সব কর্মী ১০ দিন দায়িত্ব পালন শেষে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। চিকিৎসকদের রাখার জন্য আবাসিক হোটেলের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে। বাকিদের হাসপাতাল এলাকাতেই থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সবাইকে প্রয়োজনীয় পিপিই, খাদ্য, পরিবহনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
বন্দর সিবিএর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দাবি ছিলো পরিপূর্ণ কোভিড চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। প্রাথমিকভাবে বন্দর কর্তৃপক্ষ ৬০ শয্যার ইউনিট চালু করছে। পর্যায়ক্রমে শয্যা বাড়ানো ও আইসিইউ চালুর সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বন্দরের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা করোনাকালেও ২৪ ঘণ্টা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম চালু রেখেছেন। ইতিমধ্যে আমিসহ ১৬৬ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছি। করোনায় মারা গেছেন ৯ জন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৩ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এআর/টিসি