বুধবার (৮ জুলাই) বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দুইটি স্থায়ী পশুর হাট আছে।
মেয়র বলেন, আমরা অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি পশুরহাটগুলো বিকেলের দিকে, সন্ধ্যার দিকে বসে। ক্রেতারা বিকেলের দিকে হাটে যান। চট্টগ্রামে একটি সংস্কৃতি চালু আছে, কোরবানি দাতার পরিবারের অনেক সদস্য একসঙ্গে হাটে যান। যার কারণে হাটের ওপর চাপ পড়ে। এবার যেহেতু করোনাকাল, জনগণকে আহ্বান জানাবো, দুইজনের বেশি কেউ যেন হাটে না যান। বয়স্ক ও শিশুরা যেন হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন। হাটে যারা পশু কিনতে যাবেন তারা যেন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে যান।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা অনলাইনকে পশু কেনা-বেচাকে উৎসাহিত করবো। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তাকে বলেছি, নিবন্ধিত খামারিরা যেন অনলাইনে বিক্রি করেন। অন্যান্য বছর তারা হাটে নিয়ে গরু বিক্রি করেছেন।
‘পশু কোরবানিদাতা নগরবাসীকে আহ্বান জানাবো, সকালে যাতে পশু কেনেন। দুইটি ভাগ করে, এলাকা নির্ধারণ করে দিতে চাই। যাতে হাটের ওপর চাপ কম পড়ে। পশুর হাটে একাধিক প্রবেশপথ নির্ধারণ করে দেবো। বহির্গমন (বের হওয়ার পথ) আলাদা করে দেবো। মাস্ক, গ্লভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উৎসাহিত করবো। চসিকের পক্ষ থেকে বিনামূল্যেও বিতরণ করবো। ’
তিনি বলেন, হাটে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো থেকে শুরু করে অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য যে সব পদক্ষেপ দরকার সেই পরিকল্পনা গ্রহণ করে আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবো। পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক দেবো। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২০
এআর/এমআর/টিসি