বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগর ভবনে ডিটিসিএ’র ১১তম সভায় এসব নির্দেশনা দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। একইভাবে নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সড়কে সব ধরনের খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি।
মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট বাধ্যতামূলক বলে আবারও জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে বাচ্চারা থাকে। বাচ্চাদেরও হেলমেট বাধ্যতামূলক করতে হবে। শিশু আরোহীদের জন্যও হেলমেট বাধ্যতামূলক।
ভিআইপিরা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেন একথা জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, এটা স্ট্রিক্টলি দেখতে হবে। কোন ভিআইপি আইন মানেন না। কোন ভিআইপি বাধা দেয় সেটাও দেখবেন। আমার গাড়িও ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে ধরবেন, জরিমানা করবেন। ‘ল’ মেকার শুড নট বি ‘ল’ ব্রেকার।
ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা যত কার্যক্রমই নেই না কেন, উপকারভোগীরা যদি উপকার না পায় তাহলে আমরা যে কার্যক্রম চালাচ্ছি তার দরকারটা কি? দুর্ঘটনা তো কমছে না, যানজট কমছে না। এজন্য আরও জোরালোভাবে কার্যক্রম চালাতে হবে। হাইওয়েতে থ্রি হুইলার চলবে না, তারপরেও চলছে। মহাসড়কে ৮০ এর উপরে গতি থাকবে না, এটা নির্দেশনাই আছে, তারপরেও স্পিডে ট্রাক চলে কিভাবে? তাহলে সেই নির্দেশনার কার্যকরিতা কি?
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে গাজীপুর থেকে সড়কে যে খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে তাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। সামনে নির্বাচন। গাজীপুর হচ্ছে উত্তরবঙ্গের গেটওয়ে। আমরাসহ বিভিন্ন দল সভা সমাবেশে যাবে। তাই মানুষের যাতে দুর্ভোগে পড়তে না হয় সেজন্য আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সড়কে সব খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ থাকবে। এটাতো আমাদের স্বপ্নের প্রজেক্ট। আর প্রজেক্ট তো এখনই শেষ হচ্ছে না। তাই খোঁড়াখুঁড়ি বাদে অন্যান্য কাজ চলমান থাকবে, শুধু খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ থাকবে।
আগামী রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) সড়ক নিরাপত্তা আইন সংসদে উত্থাপন করা হবে। এরপর কমিটিতে পাঠানো হবে। সম্ভব হলে এ অধিবেশনেই পাস করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
এসএম/জেডএস