তিনি বলেন, কৃষিযন্ত্রের দাম কৃষকের সহনীয় পর্যায়, কার্যকারিতা ও গুণগতমান অবশ্যই সঠিক হতে হবে। কোন এলাকায় কী ধরনের যন্ত্র প্রয়োজন তা নিরূপণ করে যন্ত্র সরবরাহ করতে হবে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাঠ পর্যায়ে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি তথা কম্বাইন্ড হারভেস্টর, রিপার ও রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের অনুকূলে কৃষি ভর্তুকি প্রদান প্রস্তাবনা বিষয়ক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মেশিনের কার্যকারিতা, মূল্য ও স্থায়ীত্বের ওপর উপস্থাপনা করা হয়। এসময় মেশিনের সুবিধা অসুবিধা তুলে ধরা হয়। বিভিন্ন এলাকায় এযাবৎ কৃষিযন্ত্রের মাধ্যমে কে কত টাকা আয় করেছে তাও উত্থাপন করা হয় সভায়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কৃষিকে আধুনিক কৃষিতে রূপান্তরিত করা, কৃষককে লাভবান করা। এজন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কাজ অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। কোন এলাকায় কি ধরনের যন্ত্র প্রয়োজন তা নিরূপণ করে যন্ত্র সরবরাহ করতে হবে। এছাড়া কোন জমি কি পরিমাণ চাষ করতে সক্ষম তা দেখতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। এমন যন্ত্র আনা হবে যে যন্ত্র সবাই ব্যবহার করতে পারে। যন্ত্র মেরামতের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া সরকার যে পরিমাণ টাকা প্রণোদনা বাবদ দেবে যন্ত্রের বাকি টাকা কৃষক কীভাবে পরিশোধ করবে তাও দেখা হবে।
কৃষি সচিব বলেন মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত লিখিত আকারে যে চাহিদা পেয়েছি, বাস্তবে ক্রয়ের সময় সে সংখ্যা কম বেশি হতে পারে। সে বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। তবে আমাদের প্রাধান্য থাকবে ব্রান্ডে। মেশিন পরীক্ষা করে মূল্যায়ন করতে হবে। প্রাথমিক মূল্যায়নের পর ব্যবহার করার পরেও মূল্যায়ন করতে হবে। একই মেশিন দিয়ে বিভিন্ন প্রকৃতির জমি চাষ করা যায় কিনা সে বিষয়টিও নজরে আনতে হবে।
সভায় বিএডিসি’র চেয়ারম্যান, বিরি ও বারির মহাপরিচালক, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবসহ কৃষি ইঞ্জিনিয়ার ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সবাই কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস