সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) আয়োজিত ‘জাতীয় আয়কর দিবস ২০১৯: কর ন্যায্যতা পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এম এ মান্নান বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধি নিয়ে দেশের মধ্যে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, দেশের মধ্যে তামাক কোম্পানি নিয়ে অনেক কথা বলছেন, এটা ক্ষতিকর এ নিয়ে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। তবে আমরা তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছি। কিন্তু একবারে বড় ঝুঁকি (নিয়ন্ত্রণ করতে) নিতে পারছি না। কারণ সেখান থেকে বড় রাজস্ব আসে। আমরা ন্যায্যতার পক্ষে কাজ করছি, সামাজিক সুরক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে। আমরা ইতিবাচক দিকে যাচ্ছি, আশা করি আপনারা পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ বলেন, আমাদের করনেট আরও বাড়াতে হবে। আমাদের পরোক্ষ কর যা আসার কথা সেটা আসছে, তবে প্রত্যক্ষ কর একেবারেই আসছে না। এ জন্য উৎসাহ দেওয়ার প্রয়োজন আছে। বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো আমাদের কর ন্যায়পাল ছিলো। কিন্তু ২০১১ সালে সেটা বন্ধ করা হয়েছে। এটা থাকলে হয়তো কর দেওয়ার আস্থার পরিবেশ আরও আসতো। তবে ভালো কর আদায়ে সংস্কার প্রয়োজন, যেটা শুধু কাগজে পরিবর্তন না, নিজের মানুষিকতার পরিবর্তনও প্রয়োজন।
সুপ্রর চেয়ারপারসন আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ, সাংবাদিক আবদুল কাইয়ুম, অক্সফামের পলিসি ও অ্যাডভোকেসি-কমিউনিকেশন ম্যানেজার এম এম মনজুর রশীদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময: ১৯৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
ইএআর/ওএইচ/