কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩৮৭ গ্রামের প্রতিটিতেই রয়েছে ছোট-বড় মাঠ। এগুলোতে বোরো চাষাবাদের উপযোগী জমি রয়েছে ১৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চুনারুঘাটের বোরো ফসলের মাঠগুলোতে সেচ প্রকল্প চালু করতে হলে একমাত্র খোয়াই নদীকেই ব্যবহার করতে হবে। যা থেকে পানি উত্তোলন করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই ব্যক্তি মালিকানাধীন কেউ সেচ প্রকল্প চালু করছেন না। যে কারণে প্রতি বছরই হাজার হাজার মণ ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী। সরকারিভাবে যদি মাঠগুলোতে গভীর নলকূপ স্থাপন অথবা নদী থেকে সেচের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করতে পারবেন কৃষকরা।
উপজেলার কেউন্দা গ্রামের কৃষক আরজু মিয়া ও সিদ্দিক আলী জানান, অনাবাদী থাকা ৮ হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ করতে পারলে কয়েক হাজার পরিবার স্বাবলম্বী হতে পারতো। আর এই জমি চাষাবাদের ব্যবস্থা করা যেতে পারে একমাত্র সরকারিভাবে সেচ প্রকল্পের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন সরকার জানান, পর্যাপ্ত সেচ সুবিধা না থাকায় প্রতি বছর শুকনো মৌসুম তথা বোরো মৌসুমে হাজার হাজার হেক্টর জমি অনাবাদী পড়ে থাকে। পাশেই রয়েছে খোয়াই নদী। ওই নদী থেকে পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা করা হলে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ জমির আবাদ করা সম্ভব। এসব জমি থেকে হাজার হাজার মন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
এসএইচ