শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) তিনি এ দাবি জানান।
নাসরিন আউয়াল মিন্টু বলেন, গ্রামীণ জনপদে অতি ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তারা ত্রাণও পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনায় সব ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তার অধিকার আছে। কিন্তু শিল্প মন্ত্রণালয় এখনো নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠনগুলো নিয়ে কোনো বৈঠক করেনি। সরকার যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, তার প্রাপ্তি সব নারী উদ্যোক্তার জন্য নিশ্চিত করতে হবে। নারী উদ্যোক্তারা এখন সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন।
নারী উদ্যোক্তাদের ওই নেত্রী বলেন, সারাবছর নারী উদ্যোক্তারা বসে থাকেন বৈশাখ ও দুইটি ঈদের জন্য। এই ঈদ ঘিরে নারী উদ্যোক্তারা তাদের নিপুণ হাতে শৈল্পিকতার ছোঁয়ায় পণ্য তৈরি করেন। মাঝারি নারী উদ্যোক্তারা ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিয়ে পণ্য তৈরি করেন। শুধু পণ্য নয়, সেবাখাতেও অনেক নারী উদ্যোক্তা ব্যাপক পুঁজি বিনিয়োগ করে এখন বিপাকে আছেন। এবার বৈশাখ ও ঈদ কেন্দ্র করে তৈরি নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য পড়ে থাকবে। আটকে যাবে তাদের পুঁজিও। ফলে নারী উদ্যোক্তারা পুঁজির অভাবে আগামীতে কিছুই করতে পারবেন না। এমন পরিস্থিতি সরকার ও ব্যাংকগুলোকে সহানুভূতির সঙ্গে দেখতে হবে।
ওয়েব সভাপতি বলেন, সত্যি কথা বলতে গেলে, করোনার কারণে অন্যান্য ক্ষুদ্র ও খুচরা ব্যবসায়ীদের মতো নারী উদ্যোক্তাদের ওপরও আঘাত পড়েছে। তারা এখন দিশাহারা। কী করবেন কেউ বুঝতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তাদের ৪ শতাংশ নয়, শূন্য সুদে এক বছরের ঋণ সুবিধা দেওয়া হোক। এই সহায়তা শুধু নারী উদ্যোক্তাদের বাঁচাবে না, অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২০
এএটি