মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ২০২০-২১ বাজেটে অর্থমন্ত্রীর কাছে ছয় দাবি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছি। চূড়ান্ত বাজেটে ওই দাবিগুলো সংযোজন করা হলে পুঁজিবাজারে গতিশীলতা ফিরে আসবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরবে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদশিত অর্থ ১০ শতাংশ কর দেওয়ার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ৩ বছরের লক-ইন শর্তে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই কর হার ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ করে ৩ বছরের লক-ইন শর্ত বাতিল করতে হবে। আর নগদ, ব্যাংকে জমা, সঞ্চয়পত্রে অপ্রদশিত অর্থ বিনিয়োগ সুযোগ বাতিল করলে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট কর হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করতে হবে। এর ফলে ভালোমানের বহুজাতিক (মাল্টিন্যাশনাল) কোম্পানিসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে। এতে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়বে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের ওপর করমুক্ত সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ১ লাখ টাকা করতে হবে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের ওপর যে অগ্রিম কর কেটে নেওয়া হয়, সেটাকে চূড়ান্ত কর হিসেবে গণ্য করতে হবে।
পুঁজিবাজারে লেনদেনের ওপর প্রতি লাখে ৫০ টাকা কর কর্তন করা হয়। এটা কমিয়ে আগের মতো প্রতি লাখে ১৫ টাকা করতে হবে।
পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়াতে বন্ড মার্কেটকে আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় করতে বন্ডের আয়ের ওপর কর কমাতে হবে। এতে বিনিয়োগকারীরা বন্ডে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে অর্থের জোগান বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
এসএমএকে/এএ