বৃহস্পতিবার (০৪ মে) সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার ২৩টি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত কয়েকবছর ধরে ৫৭-৫৮ দিনেই ফল প্রকাশিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে, নির্দেশে। এবার পাসের হার অন্যবারের তুলনায় কম। পরীক্ষকরা সবসময় ভালো করে খাতা দেখেন না। এবার প্রধান পরীক্ষকরা ভালোভাবে খাতা মূল্যায়ন করেছেন। আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি এ বিষয়ে। প্রধান পরীক্ষকরা দুবার খাতা মূল্যায়ন করেছেন।
৮টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা, কারিগরি বোর্ডের মিলিত ফলাফল
সব মিলিয়ে ১০ বোর্ডে মিলিতভাবে এবার পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৬২ জন। যার মধ্যে পাস করেছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন। এবার ১০ বোর্ডে পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত বছর পাস ছিল ৮৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। এবার ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ কম পাস করেছে।
সব বোর্ড মিলিয়ে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন। জিপিএ-৫ বা এ-প্লাস কমেছে ৫ হাজার।
৮টি সাধারণ বোর্ড বা এসএসসির ফলাফল
৮টি সাধারণ বোর্ড বা এসএসসিতে এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিলে ১৪ লাখ ২২ হাজার ৩৮৯ জন পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে পাস করেছে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮ জন। গড় পাস ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। পাসের হার কমেছে ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এ বছর এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭ হাজার ৯৬৪ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৯৬ হাজার ৭৬৯ জন।
মাদ্রাসা/দাখিল বোর্ডের ফল
এ বছর দাখিলে পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪ জন। যার মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫১ জন। এবার পাসের হার ৭৬ দশমিক ২০ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশ। পাসের হার কমেছে ১২ দশমিক ০২ শতাংশ।
এ বছর দাখিলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬১০ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৮৯৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ জন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফল
কারিগরিতে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ২৩৯ জন। যার মধ্যে পাস করেছে ৮৩ হাজার ৬০৩ জন। এবার পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ১১ শতাংশ। পাসের হার কমেছে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।
কারিগরিতে এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ১৮৭ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলে ৭ হাজার ৯৭ জন। এ বছর জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ২ হাজার ৯১০ জন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তাত্ত্বিক বা লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ মার্চ।
যেভাবে জানা যাবে ফল:
দুপুর থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন। নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ডগুলোর পৃথক ওয়েবসাইট ছাড়াও www.educationboardresults.gov.bd ঠিকানায় ফলাফল পাওয়া যাবে। মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও জানা যাবে ফল।
মোবাইলে জানতে:
সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের জন্য: SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম ৩ অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। উদাহরণ- SSC DHA 123456 2017 পাঠিয়ে দিন 16222 নম্বরে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য: Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ড এর নামের প্রথম ৩ অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সন লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। উদাহরণ- Dakhil MAD 123456 2017 পাঠিয়ে দিন 16222 নম্বরে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, ০৪ মে, ২০১৭/আপডেট ১০৫৬ ঘণ্টা, ১৪৫৩ ঘণ্টা
এমইউএম/আইএ/এএ