রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এই তথ্য জানায় গ্রেফতার আসামিরা। রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে এ তথ্য জানান হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, ঠোট কাটা নুরুজ্জামানের কাছ থেকে আট টাকা কেজি দরে ক্রয় করে লাখাই উপজেলার পশ্চিম বুল্লা গ্রামের সফর উদ্দিন ওরফে মনা মিয়া। পরবর্তীতে তিনি ১১ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে বানিয়াচং উপজেলার সাঘরদিঘীর পাড়ের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়ার কাছে। এই বই কালোবাজারির ঘটনায় সর্বমোট গ্রেফতার হয়েছে চার আসামি। এছাড়া নৈশ প্রহরী নুরুজ্জামান পলাতক রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শহরের পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন শ্রেণির পাঁচ হাজার ৫৯০টি সরকারি নতুন বই জব্দ করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। এসময় লাখাই উপজেলার পশ্চিম বুল্লা গ্রামের আমিরুল মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে হাশিম মিয়াকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। পরদিন গ্রেফতার ওই দুইজনসহ চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন কোর্ট স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী। রাসেল ও হাশিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২৭ জানুয়ারি দুলাল এবং ২৮ জানুয়ারি মনা মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে বানিয়াচং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাউছার শোকরানা বাংলানিউজকে জানান, তার গোডাউন থেকে এই বইগুলো বিক্রি করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
এসআরএস