ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস ও কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর না দেওয়ায় এসব শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
রোববার (১২ মে) ফলাফল বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চলতি বছরের এসএসসি (ভোকশনাল) পরীক্ষায় উলিপুর মহারানী স্বর্ণময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৪ জন, পাঁচপীর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ জন ও গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২ জন পরীক্ষার্থীসহ একই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ের ১১ জন পরীক্ষার্থী সব বিষয়ের তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেয়।
ফলাফল প্রকাশিত হলেও এসব পরীক্ষার্থীকে ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস ও কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। পরে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কেন্দ্র সচিবকে অবহিত করা হয়।
ব্যবহারিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা জানতে পেরেছি ওই বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্র কেন্দ্র সচিব সময়মতো বোর্ডে পাঠাননি।
এদিকে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ের গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১ জন পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্র বোর্ডে না পৌছানোর কারণে তাদেরও অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।
কেন্দ্র সচিব ও গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি যথাসময়ে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্র পাঠিয়েছি। কেন বোর্ড তাদের ফেল দেখালো সেটা বোর্ড কর্তৃপক্ষের বিষয়।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. সুশীল কুমার পাল বাংলানিউজকে জানান, আমরা চার দফা নোটিশ ও এসএমএস করে কেন্দ্র সচিবদের কাছে নম্বরপত্র চেয়ে থাকি। কেন তিনি দেননি, সে বিষয়টি উনি ভাল বলতে পারবেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রিদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা জীবনের উপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা সমাধানের চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
এফইএস/এএটি