ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইবি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে ফটকে তালা ছাত্রলীগের 

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
ইবি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে ফটকে তালা ছাত্রলীগের  আন্দোলনরত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের একাংশ। ছবি: বাংলানিউজ

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। 

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে শুরু হয় এ আন্দোলন। একপর্যায়ে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে তালা লাগিয়ে দেন।


 
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের পদত্যাগের দাবি নিয়ে দুপুর ১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর কক্ষে যান। কক্ষে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অধ্যাপক ড. মাহবুবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবি জানান।

তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশানুরূপ কোনো ফল না পেয়ে প্রশাসন ভবন থেকে বেরিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মিছিলে অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের বিরূদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

মিছিল নিয়ে দুপুর দেড়টা দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে অবস্থান করেন তারা। এসময় নেতাকর্মীরা প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। পাশাপাশি সেখানে অবস্থানরত কর্মীরা প্রক্টরের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত গেটের তালা খুলবেন না বলে জানিয়ে দেন।

এদিকে ছাত্রলীগের কর্মীরা গেটে তালা দেওয়ার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহগামী শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী দুপুর ২টার গাড়ি ছেড়ে যেতে পারেনি। এতে দুর্ভোগে পরেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীর অভিযোগ, ২০১৪ সালে প্রক্টরের দায়িত্বে থাকাকালে অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের নির্দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। ড. মাহবুবর সববময় ছাত্রলীগের বিরূদ্ধে কাজ করেছেন। জাতির পিতার হাতে গড়া একটি সংগঠনের বিরূদ্ধে অবস্থানকারী একজন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দায়িত্বে থাকতে পারেন না।

এছাড়াও ছাত্রলীগ কর্মীরা ড. মাহবুবর রহমানের বিরূদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জিম্মি করে কোনো দাবি আদায় করা যায় না। ছাত্রলীগকে বলা হয়েছে একটু সময় দিতে। তাছাড়া অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানকে অন্তবর্র্তীকালীন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যোগ্য কাউকে খোঁজা হচ্ছে। যোগ্যতা সম্পন্ন কাউকে পেলে নতুন প্রক্টর নিয়োগ দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর ৩য় বারের মত প্রক্টর হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা উপাযাচার্যের কাছে তার অব্যাহতি চেয়ে দেখা করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশানুরূপ কোনো আশ্বাস না দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনে নামেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।