সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা রাজি হননি। ফলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তার চলমান নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সভায় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার সবদিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্যবোধ অক্ষুণ্ন রাখার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়া সভায় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা, গুণমান, স্বচ্ছতা ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঝুঁকিসহ কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় উপস্থিত সদস্যদের কণ্ঠভোটে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে গুণমান ও স্বচ্ছতার প্রশ্নে আমরা সন্দিহান। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্যবোধ অক্ষুণ্ন রাখতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দেশের ১২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন। তবে ইতোমধ্যে বুয়েট, চবি ও ঢাবি কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
আরএ