ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

একাদশে ভর্তি প্রক্রিয়া এখনই নয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
একাদশে ভর্তি প্রক্রিয়া এখনই নয়

ঢাকা: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ শেষে জুনের প্রথম সপ্তাহে কলেজে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা থাকলেও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে তা এবার এখনই হচ্ছে না।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক রোববার (৩১ মে) বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আমরা একটু সময় নিয়ে ভর্তি করাব। এখনই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না।

ভর্তি পরীক্ষা বাদ দিয়ে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে অনলাইনে এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করার কথা রয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কেন্দ্রীয়ভাবে এই ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে। অন্যবারের মতো এবারও তিন ধাপে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

অনলাইন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে ভর্তির আবেদন জমা দেওয়ার কাজ করতে পারলেও ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে একটা পর্যায়ে তাদের কলেজে যেতে হয়। করোনা পরিস্থিতিতে সেটা সম্ভব না হওয়ায় অন্যবারের মতো এবার ১ জুলাই থেকে একাদশে ক্লাস শুরু করা নিয়েও অনিশ্চিয়তা রয়েছে।

এবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইনে (www.xiclassadmission.gov.bd) ভর্তির আবেদন করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পারবে।

তবে একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে তার মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তাকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। এর আগেও কয়েকবছর এভাবেই দেওয়া হয়েছে।

নটরডেমকেও নির্দেশ মানতে হবে:
অনলাইনের বাইরে নিজস্ব পদ্ধতিতে নটরডেম কলেজসহ কয়েকটি কলেজে ভর্তি পরীক্ষা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, নটরডেমসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চার্চ পরিচালিত। বিশেষায়িত হওয়ায় তাদের ভর্তির নিয়মাবলী ভিন্ন। ভর্তির নিয়মাবলী ভিন্নতার কারণে তারা ছাত্র ভর্তি করাবেন।

‘কিন্তু করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশেষ নির্দেশাবলী মেনে করবেন। সে নির্দেশনা তাদের করোনা পরিস্থিতির কারণে দেওয়া হয়েছে। ’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেক অভিভাবক মনে করেন জিপিএ-৫ না পেলে জীবন বৃথা হয়ে গেলো- এটি শিক্ষার্থীদের বিকাশের জন্য মোটেই কাম্য নয়। আমি আশা করব জিপিএ-৫ এর উন্মাদনা কমবে এবং আগামীতে যেন আরও ভালো করে সে জন্য উৎসাহ দেবেন।

এ বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন। গতবছর পেয়েছিল এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৯৪ জন। প্রায় ৩০ হাজার বেশি এবার।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, অভিভাবকদের বিনীতভাবে অনুরোধ জানাব, আজকে আপনার সন্তান পাস করেছে, অনেকই হয় তো সেই খুশিতে আত্মীয়-পরিজন বা প্রতিবেশীর কাছে মিষ্টি বিতরণ করেন, রেওয়াজ রয়েছে, যেটাই করবেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে করবেন। যেকোনোভাবে যে সংক্রমণ না ছড়ায় সেটির দিকে নজর দেবেন।

করোনা ভাইরাসের কারণে এবার ফলাফলও মোবাইলে নিবন্ধনের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ফল প্রকাশ করলেন, তার পরপরই আমাদের এখানে উপস্থিত থাকা শিক্ষাসচিব মোবাইল ফোনেও এসএমএসের মাধ্যমে তার পুত্রের ফলাফল পেয়ে গেছেন।

‘এটি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে, সেই উৎকৃষ্ট প্রমাণ। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।