মালয়েশিয়ার বসবাসরত প্রবাসীরা প্রথমে এই সুযোগ পেলেও শিগগিরই সৌদি আরব, দুবাই, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্যে বসবাসরতরাও সুযোগটি পাবেন।
নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
ভিড়িও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইসির সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর, এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রী ইমরান আহমদ, হাইকমিশনার শরিফুল ইসলামসহ অন্যরা।
এনআইডি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার সাইদুল ইসলাম তার উপস্থাপনায় বলেন, অনলাইনে কেউ আবেদন করলে সেটা আমরা তার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠাবো। সেখান থেকে তদন্ত প্রতিবেদন এলে, যোগ্য ব্যক্তির দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নেওয়ার জন্য দূতাবাসে হেল্প ডেস্ক বসানো হবে। এরপর সেটি ইসি সার্ভারে নিয়ে স্মার্ট কার্ড ছাপিয়ে হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
প্রবাসীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সচেতনতার জন্য বিভিন্ন মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার করা হবে।
আবেদনে যা লাগবে
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, মোট ছয়টি ডকুমেন্ট দিতে হবে প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার জন্য। এগুলো হলো- পাসপোর্টের ফটোকপি, বিদেশি পাসপোর্টধারী হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের ফটোকপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শনাক্তকারী একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্টের কপি, বাংলাদেশে বসবাসকারী রক্তের সম্পর্কের কোনো আত্মীয়ের নাম, মোবাইল নম্বর ও এনআইডি নম্বরসহ অঙ্গীকারনামা, বাংলাদেশে কোথাও ভোটার হয়নি মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র।
বিভিন্ন দেশে দেড় কোটির মতো বাংলাদেশের নাগরিক বসবাস করছেন বলে অনেক প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেন। যার ভিত্তিতেই পরে ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। গড়ে তোলা হয় এনআইডি তথ্য ভাণ্ডার। বর্তমানে ৫০টির বেশি সংস্থা-প্রতিষ্ঠান এই তথ্যভাণ্ডার থেকে ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছে। এতে অপরাধী চিহ্নিত করাসহ বহুমুখী সমস্যা সমাধান সহজ হয়ে গেছে। এছাড়াও সহজেই মিলছে নাগরিক সেবা।
ইসির সার্ভারে বর্তমানে ১০ কোটি ৪২ লাখ নাগরিকের তথ্য আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস