মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত পাপুলের বিরুদ্ধে একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ফয়েজ।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে ফয়েজ সিইসিকে দেওয়া আবেদনে লেখেন, শহিদ ইসলাম পাপুল নির্বাচনী হলনামায় নিজেকে স্নাতকোত্তর পাস বলে উল্লেখ করেন, সার্টিফিকেট দেন স্নাতক ডিগ্রির।
‘কিন্তু কর্তব্যরত রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক তার প্রার্থিতা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেন এবং তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ। তাছাড়া সম্প্রতি পাপুল মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। অতএব হলফনামায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য দেওয়ায় পাপুলের সংসদ সদস্যপদ বাতিল করে লক্ষ্মীপুর-২ (আসন নম্বর-২৭৫) আসন শূন্য ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। ’
গত মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) আইনজীবীর মাধ্যমে আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া সিইসি বরাবর তার এই আবেদনপত্র দাখিল করেন। ফয়েজ ভূঁইয়া ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
আবেদনটি সিইসির টেবিলে দেওয়া হলে তিনি পড়ার পর সিদ্ধান্ত দেন বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই)। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়- নথিতে সিইসি লেখেন, এ নিয়ে ইসির কিছু করার নেই। এবং সেটি নথিবন্দি করে রাখা হয়।
ইসি কর্মকর্তারা বলেন, নির্বাচনের দেড় বছর পর এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসির আইনগতভাবে কিছু করার নেই। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় অভিযোগ দিলে তা খতিয়ে দেখা যেত।
সম্প্রতি অর্থপাচার ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হয়েছেন পাপুল। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেশটির সরকার বিচার কার্যক্রম চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
ইইউডি/এএ