ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

তারার ফুল

ফেসবুকে তারকাদের বাবা দিবস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৬
ফেসবুকে তারকাদের বাবা দিবস

আজ (১৯ জুন) বিশ্ব বাবা দিবস। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার দিনটি বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয়।

এই দিনে বাবাকে বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানায় সন্তানরা। কেউ উপহার দেন অথবা দিনটাতে বাবার জন্য ভিন্ন কিছু করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বাবা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়ে মনের অনুভূতি জানিয়েছেন তারকারা।

কতোটা জুড়ে আছো বোঝানো যাবে না
বিজরী বরকতউল্লাহ

তোমাকে সবসময় পাশে পেয়েছি। আমাকে ভালো রাখার চেষ্টা করেছো ছোটবেলা থেকেই। তুমি আমার কতোটা জুড়ে আছো তা শব্দ দিয়ে বোঝানো যাবে না। বাবা দিবসের শুভেচ্ছা আব্বা। তোমাকে ভালোবাসি।

বাবা আমাদের আস্থার ছাদ
নওশীন

আব্বু তুমি আমাদের কাছে কী তা বলে বোঝানো যাবে না। বাবা দিবসে আমরা শুধু বলতে পারি, আমাদের ছেড়ে চলে যেও না। তুমি শুধু আমার কাছে আব্বু নও, বন্ধু আর নির্ভরশীল মানুষও। দৃঢ়চেতা হওয়ার শিক্ষা  তুমিই দিয়েছো। তোমার জন্য প্রতি মুহূর্তে অনুভব করি আমাদের মাথার ওপর আস্থার টেকসই ছাদ আছে। মরণ এলেও জানি আমাদেরকে শক্ত করে ধরে রাখবে তুমি। তোমাকে ভালোবাসি আব্বু।

আমার সত্যিকারের হিরো
বিদ্যা সিনহা মিম

বাবা আমার জীবনের সাহস। তিনি সবসময় অনুপ্রাণিত করেন আমাকে। তিনি আমার সেরা বন্ধু। আমাকে সবসময় সমর্থন করেন তিনি। তিনিই আমার সত্যিকারের হিরো। বাবা আমাকে শিখিয়েছেন কীভাবে সাহস ও বুদ্ধি খাটিয়ে জীবনে পথ চলতে হয়। বাবা তোমাকে ভালোবাসি।

প্রতিটা দিন আব্বু দিবস
প্রসূন আজাদ

আমার প্রতিটা দিন আব্বু দিবস, যতোদিন আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখবে। আমার বাবা হয়তো জানে না তাকে আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। আমি এমন অনেক ভুল করেছি যা শুধু আমার বাবা ক্ষমা করেছেন। কারণ তিনি মহৎ। আমাকে ত্রুটিগুলো শোধরানোর সুযোগ তিনি দিয়েছেন। আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মানুষ আমার আব্বু। তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য দুঃখিত। শুভ বাবা দিবস।

একদিন তোমাকে গর্বিত করবো
শবনম ফারিয়া

বাবা, তোমাকে হারানোর ভয় নিয়ে বেড়ে উঠেছি আমি। আমার এখনও সেদিনের কথা মনে আছে, যখন তুমি প্রথমবার হৃদরোগে আক্রান্ত হলে। আমার বয়স ছিলো ৪ বছর। পরিবারে কী হচ্ছে তা বোঝার কথা নয় এতোটুকু মেয়ের। হাজেরা আপু আমাকে জানান, তোমার খুব খারাপ অসুখ হয়েছে। তোমাকে হয়তো বাঁচানো যাবে না। একটা চার বছরের মেয়ে জীবনটা শুরু করলো তার সবচেয়ে সেরা জিনিস, সেরা বন্ধু ও দুষ্টুমির অংশীদারকে হারানোর আতঙ্ক নিয়ে। আমার  ৭ বছর বয়সে ওপেন হার্ট সার্জারির জন্য যেদিন তুমি ভারত যাচ্ছিলে, আম্মু আমাকে বিমানবন্দরে বলেছিলো তোমাকে চুমু দিতে। কারণ এটাই হয়তো আমাদের শেষ দেখা! তুমি জানো বাবা, প্রতি রাতে কাঁদতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি আমি। এখন আমি ২৫ বছর বয়সী। তোমার তিনটা ব্লক ধরা পড়েছে। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে আমার সেরা জিনিসটাকে হারানোর ভয়ে থাকি। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ ওপেন হার্ট সার্জারির ১৮ বছর পরও বাবা সুস্থ আছেন। লোকে আমার প্রশংসা করলে তার চোখে আনন্দের ঝিলিক দেখলে ভালো লাগে। তুমি যা চেয়েছিলে তা হয়তো হতে পারিনি। তবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, একদিন তোমাকে গর্বিত করবো। শুভ বাবা দিবস বাবা...

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৬
জেএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।