বুধবার (২৮ জুন) ভোর ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
প্রয়াত বাচ্চুর শ্যালক (অভিনেতা সুজা খন্দকারের ভাই) বাজু খন্দকার বাংলানিউজকে জানান, ঈদের দু’দিন আগে শুটিং থেকে ফিরে জ্বরাক্রান্ত হন এই অভিনেতা।
২৭ জুন সকালে একটি রিপোর্টে বাচ্চুর হার্টে সমস্যা ধরা পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দিনগত রাতের শেষভাগে মৃত্যু হলো তার।
বাজু খন্দকার বলেন, ‘দুলাভাই এভাবে চলে যাবেন ভাবতে পারিনি। মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগেও আমাকে ঝাড়ি দিয়েছিলেন। কারণ তার মোবাইল ফোনটিতে চার্জ দিইনি। হার্টে সমস্যা ধরা পড়ার পর সঙ্গে সঙ্গে এভাবে চলে যায় কেউ?’
নাজমুল হুদা বাচ্চু জীবদ্দশায় অভিনয় করেছেন অসংখ্য চলচ্চিত্র ও নাটকে। তার হাত ধরে অভিনয় শুরু করেছিলেন বুলবুল আহমেদ, নায়ক উজ্জ্বলসহ অনেকেই।
জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র বিভিন্ন নাট্যাংশে নিয়মিত দেখা গেছে তাকে। প্রবীণ এ অভিনেতার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে অজ্ঞাতনামা (২০১৬), রানওয়ে (২০১০), চন্দ্রগ্রহণ (২০০৮), ডাক্তার বাড়ী (২০০৭), বিদ্রোহী পদ্মা (২০০৬), চন্দ্রকথা (২০০৩), শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯), শঙ্খনীল কারাগার (১৯৯২), সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯), ডা. রমেশ, অলংকার (১৯৭৮), দরিয়া পাড়ের দৌলতী, সারেং বৌ, বেহুলা লক্ষিন্দর প্রভৃতি।
বাচ্চুর স্ত্রী লিনা নাজমুল জানান, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছিলেন এই অভিনেতা। স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানীর ইন্দিরা রোডের মারিচা অ্যাপার্টমেন্টে নিজের ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন তিন কন্যার জনক বাচ্চু।
প্রয়াত এ অভিনেতার মরদেহ চলচ্চিত্র উন্নয়ন বোর্ডে (এফডিসি) নেওয়া হবে কি-না সে বিষয়ে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তার পরিবার।
বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে নাজমুল হুদা বাচ্চুর নামাজে জানাযা। এরপর তাকে চিরসমাহিত করা হবে বনানী গোরস্থানে বাবার কবরের পাশে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এসও/এইচএ/