এবারই প্রথম নয়, এর আগেও তিনবার জেলে গিয়েছিলেন সালমান খান। ২০০৮ সালে ‘অন দ্য কাউচ উইথ কোয়েল’ নামক একটি টক শোতে সেইসব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন তিনি।
বিস্তারিত জানিয়ে সালমান বলেন, ‘সকালে একজন কয়েদি এসে চা দিয়ে যায়। আবার সেই কয়েদি আসে দুপুরের খাবার দিতে। জেলে থাকলে একটি মগ দেওয়া হয় কয়েদিকে। চা খাওয়ার পর তা ধুয়ে রাখতে হয়। কারণ পরে রান্না করা ডাল-চাল দেওয়া হয় ওই মগেই। আবার একই মগ দিয়ে গোসলও করতে হয়। জেলে প্রতিটি রুমে ৯-১০ জনকে থাকতে দেওয়া হয়। কিন্তু টয়লেট একটাই, বাথরুমও একটাই। অবশ্য জুডিশিয়াল কাস্টডিতে গেলে একা রুম পাওয়া যায়। ’
১৯৯৮ সালে হরিণ হত্যা মামলার তদন্ত চলাকালীন ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত জুডিশিয়াল কাস্টডিতে ছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট একই মামলার রায়ে তাকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিলে দ্বিতীয়বারের মতো তিন দিন জেল খাটতে হয়েছে তাকে।
সবশেষ ২০০৭ সালের ২৬ আগস্ট সেশন কোর্ট হরিণ শিকার মামলায় সালমানের আপিল খারিজ করলে তখনও জেলে যেতে হয় সালমানকে। ওই বছরের ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ছাড়া পান তিনি।
এদিকে এবার জেলে যাওয়ার পর নাকি অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন সল্লু। কারাগারে রাতের খাবার হিসেবে তাকে দেওয়া হয়েছিলো ডাল, সবজি ও রুটি। কিন্তু সেগুলো ছুঁয়েও দেখেননি ৫২ বছর বয়সী এই তারকা। এছাড়া শুক্রবার (০৬ এপ্রিল) সকালের নাস্তায় তাকে খিচুড়ি দেওয়া হলে মুখে তোলেননি ‘কিক’ তারকা। ছেড়ে দিয়েছেন খাওয়া-দাওয়া। এমনকি বেড়ে গিয়েছিলো তার উচ্চ রক্তচাপ। তবে এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন তিনি।
সালমানের এক ঘনিষ্ঠসূত্র জানায়, সালমানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তার ব্লাড প্রেসারও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মানসিকভাবে একদম ভেঙে পড়েছেন তিনি। বলিউডের ‘সুলতান’ এখন রয়েছেন স্কুলছাত্রী ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আধ্যাত্মিক নেতা আসারাম বাপুর পাশে। দু’জনের মাঝে শুধুই একটি দেয়াল।
ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, যোধপুরে হরিণদের দেবতা মানা হয়। তবুও এতো বছর পরে এসে শাস্তি হবে তা ভাবতেই পারেননি সালমান। তাই একটু ঘোরের মধ্যে আছেন তিনি। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য জেল কর্তৃপক্ষ তাকে অন্য কয়েদিদের কাছ থেকে আলাদা রাখা রেখেছেন।
** সালমান খানের জেলে কাটানো অভিজ্ঞতা (ভিডিও)
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৮
বিএসকে