ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

‘একুশ মানে, মাথা নত না করা’: ন্যাপ মহাসচিব

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
‘একুশ মানে, মাথা নত না করা’: ন্যাপ মহাসচিব

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে এবং ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সহযোগিতায় মাসব্যাপী ভাষা আন্দোলন স্মরণে উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তোপখানাস্থ পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন তিনি।

এসয় আরো উপস্থিত ছিলেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, নারী নেত্রী মির্জা শেলী প্রমুখ।

এসময় বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, আমাদের মহান একুশে ফেব্রুয়ারিকে যারা মহান করেছেন, যাদের কারণে ভাষা আন্দোলন আজ এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, সেই শহীদদের পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে জাতি।

তিনি বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ধরনের উদ্যোগ মহল্লায় মহল্লায় করার জন্য প্রয়োজন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও সার্বিক সহযোগিতা।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, মহান ভাষা সংগ্রামের শিক্ষা হচ্ছে ‘একুশ মানে, মাথা নত না করা। ’ বছর ঘুরে ফেব্রুয়ারি আসে, আর ফেব্রুয়ারির সিঁড়ি বেয়ে একুশ আসে। সময়ের আবর্তনে এবারো ফেব্রুয়ারি এসেছে এবং এসেছে অমর একুশে। আমাদের গর্ব ‘অমর একুশে’ এবার পূর্ণ করবে ৬৮ বছর।

তিনি বলেন, রক্তরঞ্জিত একুশে এখন শুধু বাঙালির নয়, গোটা বিশ্ববাসীর সম্পদ, ঐতিহ্য ও গর্বের উৎস। একুশে ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি লাভ করেছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে। উনিশ শ’ বায়ান্নর এই ভাষা আন্দোলন ছিল নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুকঠিন লড়াই। ভাষা সংগ্রামের মধ্য দিয়েই সেদিন রোপিত হয়েছিল মহান স্বাধীনতার বীজ। অমর একুশের রক্তসিঁড়ি বেয়ে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা অর্জন করেছি চূড়ান্ত বিজয় ও লাল সবুজ পতাকা শোভিত নতুন মানচিত্রের বাংলাদেশ।

এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, ‘একুশে’ মানুষকে স্বৈরাচার এবং গণবিরোধী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সাহসী করেছে। একুশের শহীদ মিনারে শপথ নিয়েই এ দেশের মানুষ পথ চলেছে প্রতিটি সংগ্রামে। বাংলাদেশের সাহিত্য, নাটক, সংগীতসহ চিত্রকলা ও সংস্কৃতির সব মাধ্যমে একুশ যতখানি প্রভাব ফেলেছে, অন্য কোনো আন্দোলন বা সংগ্রাম ততখানি প্রভাব ফেলতে পারেনি। একুশের সাথে ভাষার সম্পর্ক থাকার কারণেই সেটি সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।