শনিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ২০ জন রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া ঠাণ্ডাজনিতসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরো ৬১ জন রোগী।
হঠাৎ করে রোগী বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে ২০ শয্যার বিপরীতে রোগী রয়েছে ৬২ জন। এতে একটি বেডে গড়ে ২/৩ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন ও শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শিশুরা ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভুগছে বলে জানিয়েছে অভিভাবকেরা। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, বিগত সময়ের চেয়ে এবার নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা কম। আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দৌলতখানের চরসুফি থেকে চিকিৎসা নিতে আসা একটি শিশুর মা ইয়াসমিন বাংলানিউজকে জানান, ঠাণ্ডার কারণে তার সন্তান নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। দুই দিন ধরে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ফারিয়া ও ফাহিমার অভিভাবকেরা বাংলানিউজকে জানান, শ্বাসকষ্ট ও কাশির কারণে তাদের সন্তানদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাঁচদিন ধরে তারা হাসপাতালে রয়েছেন।
শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহানাজ খান বাংলানিউজকে জানান, গত সাতদিন ধরে রোগীর চাপ একটু বেশি। এদের মধ্যে নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত শিশুদের সংখ্যা বেশি। আমরা শিশুদের চিকিৎসা দিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ১২ দিনে এখানে ১৩৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে ৪১ জন নিউমোনিয়া ও ২০ জন ঠাণ্ডাজনিত রোগী। অ্যান্টিবায়োটিক, নেবুলাইজারসহ সব ওষুধ রয়েছে। চিকিৎসা দিতে কোনো সমস্যা হচ্ছেনা।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, শীতের কারণে শিশুরা ঠাণ্ডাসহ নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার ভোলা হাসপাতালে শিশু রোগীদের চাপ কম। যারা ভর্তি রয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে ২০টি থাকালেও সেখানে এখন ৪১টি বেড দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৯
এনটি