রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে প্রকাশিত দ্য ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট অন ভিশন বা দৃষ্টি বিষয়ক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ব্লাইন্ডনেস (আইএপিবি), এনজিও ফোরাম ইন আই হেলথ ও বাংলাদেশ সরকারের ন্যাশনাল আই কেয়ার আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে সাড়ে সাত লাখ মানুষ অন্ধ। দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতায় ভুগছে ৬০ লাখের বেশি মানুষ। এখন দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতায় ভুগছে বিশ্বে প্রায় ২২০ কোটি মানুষ। এদের মধ্যে ১০০ কোটি মানুষের সময়মত চিকিৎসার উদ্যোগ নিলে চোখের আলো ফিরে পেতো। দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা সমস্যা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এ সমস্যায় ভোগা বেশির ভাগ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বয়োবৃদ্ধি, জীবনধারা পরিবর্তন এবং নগরায়ন আগামী দশকগুলোতে চক্ষু সমস্যা, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ও অন্ধত্ব ভোগা মানুষের সংখ্যা নাটকীয় ভাবে বাড়বে। এ সময়ে চিকিৎসার প্রয়োজনও নাটকীয়ভাবে বাড়বে এবং এর ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যথেষ্ট পরিমাণ চ্যালেঞ্জ দেখা দেবে।
দৃষ্টি ত্রুটি ও ছানির চিকিৎসা না করার কারণে বিশ্বজুড়ে যে আর্থিক ক্ষতি হয় তার পরিমাণ প্রায় ১৪৩০ কোটি টাকা। চক্ষু রোগ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার বোঝা সবখানে এবং সবার ক্ষেত্রে সমান নয়। স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশ এবং নারী, অভিবাসী, আদিবাসী, বিশেষ ধরনের প্রতিবন্ধী এবং গ্রামীণ মানুষের মতো জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এ বোঝা তুলনামূলকভাবে বেশি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আইএপিবির দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের চেয়ারম্যান ডা. তারাপ্রসাদ দাস।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মহাপরিচালক ডা. দীন মো. নুরুল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
এসই/আরআইএস/