ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আনুষ্ঠানিকতা শেষে উদ্বোধন হবে বসুন্ধরা করোনা হাসপাতাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২০
আনুষ্ঠানিকতা শেষে উদ্বোধন হবে বসুন্ধরা করোনা হাসপাতাল বসুন্ধরা হাসপাতালে বসানো হয়েছে বেড। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের চিকিৎসায় প্রস্তুত রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় (২০১৩ শয্যার) অস্থায়ী হাসপাতাল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের কিছু দাপ্তরিক কার্যক্রম শেষ হলে হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এমএম জসীম উদ্দিন।

‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’ এই স্লোগানের আলোয় পথচলা বসুন্ধরা গ্রুপ করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগকালেও দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে এসেছে।

দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী বাড়তে থাকায় সম্প্রতি সরকারকে আইসিসিবিতে পাঁচ হাজার শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। বসুন্ধরা হাসপাতালে বসানো হয়েছে বেড।                                          ছবি: জিএম মুজিবুরবসুন্ধরা গ্রুপের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আইসিসিবিতে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করে ১৪ এপ্রিল। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে দিন-রাত সমানতালে কাজ করে কনভেনশন সিটিকে মাত্র ৩ সপ্তাহে হাসপাতালে রুপান্তরিত করেছেন।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম বলেন, হাসপাতালের কাজ শতভাগ শেষ করা হয়েছে। এখন যেকোনো সময় চালু করা যাবে।

হাসপাতালটির পরিচালক ডা. এহসানুল হক বলেন, হাসপাতালের নির্মাণ শেষ। বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে কিছু অফিসিয়াল কার্যক্রম আছে, সেগুলো সম্পন্ন করেই উদ্বোধন করা হবে। বসুন্ধরা হাসপাতালের প্রবেশপথ ।  ছবি: জিএম মুজিবুরআইসিসিবিতে হাসপাতাল নির্মাণে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি দল পরির্দশন করে পরবর্তীতে এটাকে অস্থায়ী হাসপাতাল বা আইসোলেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কোভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যতদিন ব্যবহারের প্রয়োজন শেষ না হবে ততদিন আইসিসিবিকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে এখানে দুই হাজার ১৩ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। তবে প্রয়োজন দেখা দিলে এটিকে পাঁচ হাজার শয্যায় রূপান্তর করা যাবে। এ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেলে বাংলাদেশে এটিই হবে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য বৃহত্তম সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২০
এসই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।