ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

শির সঙ্গে ফোনালাপ, ‘এক চীন’ প্রশ্নে উল্টো সুর ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
শির সঙ্গে ফোনালাপ, ‘এক চীন’ প্রশ্নে উল্টো সুর ট্রাম্পের ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শি জিনপিং

চিঠি পাঠানোর পর এবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প।  ‘অত্যন্ত আন্তরিক’ ফোনালাপে দুই নেতা বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলেছেন। এরমধ্যে ছিল ‘এক চীন’ নীতিও। বেইজিংয়ের এই নীতি এতোদিন মানবেন না বলে ইঙ্গিত দিলেও এবার তিনি সুর পুরোপুরি পাল্টে ফেলে বলেছেন, চীনের এই অবস্থানকে ওয়াশিংটন সম্মান করে।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দু’জনের মধ্যে ফোনালাপ হয়। গত জানুয়ারির ‍মাঝামাঝি সময়ে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ওঠার পর এই প্রথম বিশ্ব অর্থনীতির মূল শক্তি দেশ দু’টির প্রধান নেতার মধ্যে কথা হলো।

এর আগে অবশ্য শি জিনপিংকে চিঠি দিয়ে আলাপের সূচনা করেন ট্রাম্প। সেখানে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সুসংহত করার কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতের ফোনালাপে দুই নেতা অনেক বিষয়ে আলাপ করেন। এরমধ্যে শি ‘এক চীন’ নীতি প্রশ্নে সমর্থন জানানোর অনুরোধ করলে ট্রাম্প একমত হন। তিনি ‘এক চীন’ নীতির প্রতি নিজের সম্মানের কথাও জানান।

‘এক চীন’ নীতি হলো তাইওয়ানকে ‘অখণ্ড’ চীনের অংশ মনে করা। কিন্তু তাইওয়ানিজরা এর বিরুদ্ধে। ১৯৭২ সালে চীনের সেসময়কার নেতা মাও সে-তুংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের এক সমঝোতায় ‘এক চীন’ নীতির প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের কথা বলা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৯ সাল থেকে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই যুক্তরাষ্ট্রের।

এরপর থেকে এতো বছর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টও ‘এক চীন’ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। কিন্তু সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সঙ্গে কথা বলে ওয়াশিংটনের অবস্থান বদলের ইঙ্গিত দেন। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বেইজিংয়ের পরামর্শ-আবদার মানতে বাধ্য নয় বলেও জানিয়ে দেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে বেইজিং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হোয়াইট হাউসকে জানিয়ে দেয়, দু’পক্ষের সম্পর্কের ভিত্তি এই ‘এক চীন নীতি’ই।

সেই হুমকিতেই যেন গলে গিয়ে বৃহস্পতিবার সুর বদলে ফেললেন ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতা অত্যন্ত আন্তরিক আলাপের পর একে অপরকে স্বদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।  

এই বৈঠকের পর দুই দেশের প্রতিনিধিরা দু’পক্ষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে শিগগির আলাপে বসবে বলেও জানানো হয় হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এইচএ/

আরও পড়ুন
** চীনের প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের চিঠি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।