শনিবার (১১ নভেম্বর) দুই নেতার বৈঠকের পর রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবন ক্রেমলিন থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস কিছু বলেনি।
ক্রেমলিন জানায়, ভিয়েতনামের বন্দরনগরী দা নাংয়ে অ্যাপেক সম্মেলনের ফাঁকে দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠকের পর তাদের কার্যালয় সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বিবৃতি প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু বিবৃতির বিষয়েও কিছু বলেনি হোয়াইট হাউস।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি জানায়, হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিন দুই নেতার মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক হচ্ছে না বলে জানিয়ে এলেও শুক্রবার রাতে নৈশভোজের ফাঁকে দেখা হয় ট্রাম্প ও পুতিনের। সেসময় করমর্দনও করেন তারা। শনিবার ফের মূল সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতা দেখা করেন। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নেতাদের ফটোসেশনে দ্বিতীয় সারিতে পাশাপাশি দাঁড়িয়েও হাস্যোজ্জ্বল আলাপ করতে দেখা গেছে দুই প্রেসিডেন্টকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত তিন বার মুখোমুখি হয়েছেন ট্রাম্প ও পুতিন। প্রত্যেকবারই তারা বেশ খোশ মেজাজে কথা বলেছেন।
ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়, সংক্ষিপ্ত আলাপকালে দুই নেতা এ ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছেন যে— সিরিয়ার সংঘাত বন্ধে সামরিক পদক্ষেপ সমাধান নয়। সেজন্য আইএসকে পরাজিত করতে তারা সব পক্ষকে শান্তি আলোচনায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে। এই হস্তক্ষেপের ফল ট্রাম্পের পক্ষেই গেছে বলে মনে করেন দেশটির গোয়েন্দারা। সেজন্য ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তদন্তাধীনও রয়েছেন।
এই অভিযোগ-তদন্তের মধ্যেই গত জুলাইয়ে জার্মানির হামবুর্গে উন্নত দেশগুলোর জোট জি-২০ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো দেখা হয় ট্রাম্প-পুতিনের। এরপর এশিয়া সফরের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, এখানে তিনি দেখা করতে পারেন পুতিনের সঙ্গে। কিন্তু হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিন আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ায় এ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৭
এইচএ/