করাচিতে আয়োজিত এক সেমিনারে শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) তিনি একথা বলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনবারের নির্বাচিত এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাস গণতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যতবারই গণতন্ত্র নিজের পায়ে দাঁড়াতে যাচ্ছিল, ততবারই তাকে নিঃশেষ করে দেওয়া হয়েছে।
১৯৫৩ সালে খাজা নাজিম উদ্দিনকে জোর করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে মোহাম্মদ আলী বগুড়াকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসানোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পদত্যাগী এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন থেকেই এ দেশে প্রধানমন্ত্রীদের খেলনা হিসেবে দেখা হয়।
‘এটা আরও দুর্ভাগ্যজনক যে, গণতন্ত্র আক্রমণের শিকার হলে বিচার বিভাগের কিছু অংশ জনগণ, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক শাসনের পাশে না থেকে একনায়কতন্ত্রকে সমর্থন করে। ’
১৯৫৬ সালে প্রণীত প্রথম সংবিধান বাতিল ও ১৯৫৮ সালের নির্বাচনে সামরিক আইন জারির প্রসঙ্গও ছিল দুর্নীতির দায়ে প্রধানমন্ত্রীর পদে অযোগ্য ঘোষিত হওয়া নওয়াজের বক্তব্যে।
তিনি বলেন, সংবিধান বাতিলের বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গিয়েছিল। কিন্তু আবারও সেই সামরিক আইন বৈধতা পায়।
‘১৯৯৯ সালে যখন আমাদের সরকার উৎখাত হয় ও সামরিক আইন জারি করা হয়, তখন একজন বিচারক বলেন, একটি মহান কাজ করা হয়েছে,’ যোগ করেন নওয়াজ।
পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) চেয়ারম্যান নওয়াজ বলেন, অতীতে মেয়াদ শেষ না হলেও বেশ কয়েকজন প্রধানমন্ত্রীকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
‘দেশের মানুষ জানে আমার সঙ্গে কী করা হয়েছিল, কী ঘটেছে বেলুচিস্তানে, কিভাবে অপসারণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। ’
গতবছর পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার খবর ফাঁস হলে নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করে রায় দেয় দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এমএসএ/এমএ