গত এক বছর ধরে সৌদি সমর্থিত অঞ্চলগুলো কাতারকে বর্জনের পদক্ষেপ নেয়। পারস্য উপসাগরের এ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নসহ নানা অপকর্মের অভিযোগও তোলে।
স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বলা হয়, পাঁচটি আন্তর্জাতিক কোম্পানির কাছে এই প্রকল্পের জন্য নিলাম আহ্বান করা হয়েছে। এমনকি সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। খালটির নাম হবে ‘সালওয়া চ্যানেল’। দেশটির কর্তৃপক্ষ আশা করছে, নির্মাণ কাজ এক বছরের মধ্যে শেষ হবে।
সংবাদমাধ্যমগুলো আরও জানায়, খাল খনন প্রকল্পের অগ্রগতি হচ্ছে। গত দুইমাস আগে খাল খনন প্রকল্পটি সৌদি সরকারের অনুমতির জন্য উত্থাপন করা হয়।
সালওয়ালা নামের এ খালটি ৬৫০ ফুট প্রশস্ত এবং ১৩০ ফুট গভীর হবে। এই খাল দিয়ে জাহাজও চলাচল করতে পারবে। প্রকল্পটির জন্য আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২.৮ বিলিয়ন রিয়াল বা ৭৪৫ মিলিয়ন ডলার।
তবে সৌদি সরকার এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ওয়াশিংটনভিত্তিক আরব ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আলি শিহাবি মনে করেন, সালওয়ালা খাল নির্মাণ করা হলে উভয় দেশের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব বাড়বে।
শুধু সৌদি আরবের সঙ্গে কাতারের স্থলসীমান্ত আছে। গত বছরের জুন থেকে এ সীমান্তও বন্ধ রয়েছে। একই বছরের এপ্রিলে সৌদি বাহিনী সালওয়ালা সীমান্ত ক্রসিংয়ের দখলও নিয়েছে। ফলে স্থলপথে কোনো দেশের সঙ্গে কাতারের যোগাযোগ নেই। তবে বর্হিবিশ্বের সঙ্গে কাতারের সমুদ্রপথ ও আকাশপথে যোগাযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
এএইচ/আরআর