ঝড়ের কারণে এরইমধ্যে জাপানের পশ্চিম উপকূলে বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। দেশটির দ্বিতীয় জনবহুল শহরে শিকুকুতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
মৌসুমের ২১তম সামুদ্রিক এ ঝড়ের বিষয়ে জাপানের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, টাইফুনের আঘাতস্থলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটছে। এরইমধ্যে ওসাকা ও হিরোশিমার মধ্যে লোকাল এবং উচ্চগতির ট্রেন সার্ভিস বাতিল করা হয়েছে। সীমিত করা হয়েছে টোকিও থেকে ওসাকার মধ্যকার ট্রেন সার্ভিস। আর বাতিল করা হয়েছে ৫শ’ ফ্লাইট।
এছাড়া প্রায় তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
পশ্চিমাঞ্চলে আঘাতের পর জাপান সাগর দিয়ে হনশুর মূল ভূ-খণ্ড হয়ে টাইফুন ‘জেবি’ জাপান অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে পড়বে। চলতি বছরে জাপানে আঘাত হানা চতুর্থ সামুদ্রিক ঝড় এটি। ১৯৯৩ সালের ওই ঝড়ে সে সময় ২৫ জনের প্রাণহানির খবর জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এর আগে গত জুলাইয়ে সূর্যোদয়ের দেশটিতে হঠাৎ প্রবল বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে অন্তত দুইশ’ মানুষের প্রাণহানি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
জেডএস