মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) ‘জেবি’ নামের এ টাইফুন উপকূলে আঘাত হানে। বলা হচ্ছে, দেশটিতে ২৫ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে বলছে, ‘জেবি’র আঘাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিয়োটো ও ওসাকা শহরের অধিকাংশ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
দেশটির অসংখ্য ফ্লাইট, ট্রেন ও ফেরি চলাচল বাতিল করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বলছে, ওসাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে পড়েছেন হাজারও যাত্রী।
টাইফুন ‘জেবি’র কারণে বন্যা ও ভূমিধসের সতকর্তা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে তালিকা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
মৌসুমের ২১তম সামুদ্রিক এ ঝড়ের বিষয়ে জাপানের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, টাইফুনের আঘাতস্থলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটছে। এরইমধ্যে ওসাকা ও হিরোশিমার মধ্যে লোকাল এবং উচ্চগতির ট্রেন সার্ভিস বাতিল করা হয়েছে। সীমিত করা হয়েছে টোকিও থেকে ওসাকার মধ্যকার ট্রেন সার্ভিস। আর বাতিল করা হয়েছে প্রায় ৫০০ ফ্লাইট।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
পশ্চিমাঞ্চলে আঘাতের পর জাপান সাগর দিয়ে হনশুর মূল ভূ-খণ্ড হয়ে টাইফুন ‘জেবি’ জাপান অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে পড়বে। চলতি বছরে জাপানে আঘাত হানা চতুর্থ সামুদ্রিক ঝড় এটি। ১৯৯৩ সালের ওই ঝড়ের সময় ২৫ জনের প্রাণহানির খবর জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এর আগে গত জুলাইয়ে সূর্যোদয়ের দেশটিতে হঠাৎ প্রবল বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে অন্তত দুইশ’ মানুষের প্রাণহানি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
এএইচ