তারা হলেন- অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাও’র সহ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) হুসাইন এম ইলিয়াস এবং কার্টুনিস্ট আবদুল্লাহ আল মোরশেদ।
ভিন্ন ভিন্ন ১০টি ক্যাটাগরিতে (অনূর্ধ্ব-৩০) ৩০ জন করে টানা চতুর্থবারের মতো এ তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস।
এর মধ্যে ফোর্বসের কনজুমার টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে ৩০ জনের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন হুসাইন এম ইলিয়াস এবং মিডিয়া, মার্কেটিং অ্যান্ড অ্যাডভার্টিজিং ক্যাটাগরির ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ তালিকায় জায়গা পেয়েছেন আবদুল্লাহ আল মোরশেদ।
পরে এম ইলিয়াস সম্পর্কে ফোর্বস বলে, হুসাইন ইলিয়াস এবং শিফাত আদনান (অনূর্ধ্ব-৩০) এক হয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দেশের প্রথম রাইড শেয়ারিং সেবা পাঠাও। যে প্রতিষ্ঠানটি এখন মোটরবাইক ও কার সেবার পাশাপাশি অন-ডিমান্ড লজিস্টিকস এবং ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে পাঠাও’র সঙ্গে মোটরবাইক এবং কার নিয়ে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন রাইডার সংযুক্ত রয়েছেন। যারা বাংলাদেশের পাঁচটি শহর এবং নেপালের কাঠমাণ্ডুজুড়ে রাইড শেয়ারিং সেবা দিচ্ছেন।
প্রকল্পটির বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইন্দোনেশিয়ার গো জেকের উৎসাহে ইলিয়াস চাইছেন পাঠাও যেনো বাংলাদেশের ‘সুপার অ্যাপ’ হয়। পাঠাও এ পর্যন্ত ১২ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার ফান্ড পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান মূল্য ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
আর আবদুল্লাহ আল মোরশেদ সম্পর্কে ফোর্বস বলেছে, ২০১৮ সালের প্রথম দিক থেকে কার্টুনিস্ট মোরশেদ মিশু (আবদুল্লাহ আল মোরশেদ, মোরশেদ মিশু নামেই তাকে সবাই চেনে) বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধের বিষয় নিয়ে কার্টুন তৈরি করতে শুরু করেন। হৃদয়বিদারক নানা ছবি উঠে আসে তার প্রতিভায়। মিশুর আশা ছিল তার কর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য যদি না থাকতো, তাহলে কতো সুন্দর হতো পৃথিবীটা।
ফোর্বস যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত একটি ম্যাগাজিন। এটি সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও বিখ্যাত বিভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ তালিকা প্রকাশ করে। বিশ্বে শীর্ষ ধনীদের তালিকা এই নামকরা প্রতিষ্ঠানটিই করে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
টিএ/