শুক্রবার (৬ সেপ্টেস্বর) স্থানীয় একাধিক সূত্রের বরাতে এতথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
১৯৮০ সাল থেকে দুই মেয়াদে প্রায় ৩৭ বছর জিম্বাবুয়ে শাসন করেছেন রবার্ট মুগাবে।
২০১৭ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুগাবে সরকারের পতন ঘটে। তবে, তার আগেই পদত্যাগের শর্ত হিসেবে নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের জাতির পিতার ইচ্ছা ছিল নিজ দেশেই শেষ সময়টুকু কাটানোর। তবে, সেটি পূরণ হয়নি। দীর্ঘদিন নানা অসুখ-বিসুখের সঙ্গে লড়ে অবশেষে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
রবার্ট মুগাবের জন্ম ১৯২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। ১৯৬৪ সালের দিকে তৎকালীন রোডেশিয়া সরকারের সমালোচনা করায় এক দশকেরও বেশি সময় বিনা বিচারে বন্দী করে রাখা হয় তাকে। কারাগারে থাকাকালীন ১৯৭৩ সালে জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হন মুগাবে।
জিম্বাবুয়ে স্বাধীন হওয়ার পর অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে জিতে ১৯৮০ সালে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। পরে, ১৯৮৭ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এ নেতা।
শাসনামলের শুরুর দিকে দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের ব্যাপক উন্নয়নের কারণে প্রশংসিত হন তিনি। তবে, শেষদিকে তার ভূমি সংস্কার কার্যক্রম ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয় ও দেশের অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়ে। এছাড়া, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও অভিযোগ উঠেছিল আলোচিত এ নেতার বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯ (আপডেট ১২০৩)
একে